বর্ষা শুরু হতেই বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। রাজধানীর মুগদা হাসপাতালের তথ্য বলছে, এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ২১৫ জন, মার্চে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯৫ জন আর জুনে তা গিয়ে ঠেকে ৩৬৮ জনে।
তবে আক্রান্তদের অনেকেই হাসপাতালে আসছেন দেরিতে, ফলে বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি। এই যেমন রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায় রাজমিস্ত্রী শাওন মিয়া, জ্বর-মাথা ব্যাথা নিয়ে বাসায় ভুগেছেন ৪ দিন। এরপর মুগদা হাসপাতালে এসে জানলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত তিনি।
শাওন মিয়া বলেন, 'বাসায় ৪ দিন ছিলাম খুব জ্বর ছিলো। নাপা খেয়েছিলাম কমেনি দেখে হাসপাতালে আসি।'
শাওনের মতো অনেকেই কয়েকদিন জ্বরে ভুগে তারপর এসেছেন হাসপাতালে। যাদের বেশিরভাগই খেটে খাওয়া মানুষ।
আরেকজন বলেন, 'প্রথমে জ্বর আসছিল আসার পরে বমি হয়। হাসপাতালে এসে টেস্ট করালে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে।'
চিকিৎসকরা বলছেন ডেঙ্গুর উপসর্গ থাকলে দেরি না করে পরামর্শ নিতে হবে, নাহলে সুস্থ হয়ে উঠতে দেরি হবে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, 'যখন অতিরিক্ত ঝুঁকিতে যাচ্ছেন তখন রোগীরা হাসপাতালে আসতেছে। আমাদের পরামর্শ হবে যখন সাধারণ উপসর্গের বাহিরে কিছু দেখা যাবে তখনই হাসপাতালে দ্রুত চলে আসেন।
তবে এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সামাল দিতে কষ্ট হবে না বলছেন সংশ্লিষ্টরা।