মুগদা-মেডিকেল-কলেজ

অক্টোবরে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে অক্টোবরের মাঝামাঝিতেই সেপ্টেম্বরের চেয়ে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ফলে একদিকে সিট সংকট অন্যদিকে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে তাই হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক এবং নার্সদের। শক সিনড্রোমে গিয়ে আইসিইউতে ভর্তি রোগীদেরই মৃত্যু বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে যেন আভাস মিলছে অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির।

শিশুদের ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে

শিশুদের ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে

দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ। উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে শিশুদের আক্রান্তের হারও। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিশু, যাদের বয়স ১০ বছরের নিচে। এদের বেশিরভাগই উন্মুক্ত স্থানে কাজ করা নিম্নআয়ের পরিবারের। তাই সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে মশা নিধনের কার্যকর পদক্ষেপের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

জেলা-উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি, ১শ' জনে মৃত্যু একজনের

জেলা-উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি, ১শ' জনে মৃত্যু একজনের

এবার ঢাকায় তুলনামূলক কম আক্রান্ত হলেও জেলা-উপজেলা থেকে বেশি আসছে ডেঙ্গু রোগী। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে- এবার প্রতি ১০০ ডেঙ্গুর রোগীর মধ্যে প্রাণ হারাচ্ছেন একজন, যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। গেলবার ভয়াবহতা বাড়িয়েছিল ডেন-টু ধরন, তবে চলতি বছর এই ধরনের ঢাকায় বিস্তার না ঘটলেও ডেঙ্গুর বাকি তিন ধরনের একটি ছড়িয়ে পড়লেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে শঙ্কা গবেষকদের।

হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ বহির্বিভাগে, অথচ সেখানেই যত সংকট

দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশই চিকিৎসা নেন হাসপাতালের বহির্বিভাগে। তবে ডাক্তারদের দেরির কারণে ভোগান্তি বাড়ে রোগীর। আবার লোকবল কম থাকায় অনেক সময়ই প্রয়োজনের তুলনায় কম সময় পান রোগীরা। রোগীর চাপে ডাক্তারদের আন্তরিকতার যায় কমে। অন্যদিকে দেশে রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী ভুল করে অন্য রোগের বিশেষজ্ঞের কাছে চলে যান। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, অনুপস্থিতি ও জনবল ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তারা।

বর্ষা শুরুর পর বেড়েছে এডিস মশার উপদ্রব

বর্ষা শুরুর পর বেড়েছে এডিস মশার উপদ্রব। যার কারণে, রাজধানীসহ দেশজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ, আর প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যেকেনো উপসর্গ দেখলে যত দ্রুত সম্ভব নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে।

ফাঁকা বাসা-বাড়িতে জমে থাকা পানি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু ঝুঁকি

ফাঁকা বাসা-বাড়িতে জমে থাকা পানি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু ঝুঁকি

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাসা বাড়িতে জমে থাকা পানি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু ঝুঁকি। এছাড়াও দুই সিটি করপোরেশনের অনেক এলাকায় এখনো গরুর হাটের ময়লা আবর্জনা ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় সেসব আবর্জনাও পরিণত হয়েছে মশার আবাসস্থলে। হাসপাতালেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। ডেঙ্গুর ধরণ পাল্টানোয় দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা। ফলে রোগীদের সুস্থ হতে সময় লাগছে অনন্ত ৭-১০ দিন।