একদিন পরই ঈদুল আজহা উদযাপন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাই, আজমান, শারজাহ, আবুধাবি, আল-আইনসহ দেশটিতে বেশকিছু জায়গায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। সরকার নির্ধারিত এসব হাট শেষ সময়ে বেশ জমজমাট। দেশের মতো অস্থায়ী পশুর হাট দেখা না গেলেও আরব আমিরাতের এসব হাটে কোরবানি উপলক্ষে পশু বেচাকেনায় ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসীরা।
তারা বলেন, গরুর দাম এখানে মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই। বিভিন্ন দেশ থেকে গরু আসে। এখানের পরিবেশও খুব ভালো। দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে কোরবানি করেছি। এখানকার গরুর মান খুব ভালো।
আরব আমিরাতের বাজারে বেশিরভাগ পশুই আমদানি করা। সোমালিয়া, মিশর, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব ও ইয়েমেনসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে এসেছে এসব পশু। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশুর চাহিদা বাজারে থাকলেও ঈদে আমদানিকৃত পশুর সংখ্যাই বেশি।
গরু, ছাগল, ভেড়া আর উট বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। রপ্তানিকারক দেশ আর জাতের ওপর নির্ভর করছে দামের পার্থক্য। গরুর দাম কিছুটা কম হলেও ভেড়ার দাম তুলনামূলক বেশি। সাড়ে তিন হাজার দিরহাম থেকে গরুর দাম শুরু, যেখানে একটি ভেড়ার জন্য গুণতে হচ্ছে ন্যূনতম ৫০০ দিরহাম। ব্যাপক দর কষাকষির পর পছন্দের পশু হাতে পাচ্ছেন ক্রেতারা।
শেষ সময়ে পছন্দের পশু বাছাই করতে এসব হাটে ছুটছেন অনেকে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও মিশরসহ বিভিন্ন দেশের আমিরাত প্রবাসীরা পশু কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভিনদেশে পরিবার ছেড়ে থাকা ব্যাচেলর প্রবাসীরাও ঈদ উদযাপনে বন্ধু-সহকর্মীদের নিয়ে পছন্দের পশু কিনতে ভিড় করছেন বাজারে।