লালনের জন্মভূমি কুষ্টিয়া থেকে বহুদূরে আমিরাতের আজমান শহর। এ শহরে প্রথমবার লালনভক্তরা আয়োজন করলো ব্যতিক্রমী লালন সন্ধ্যা। আমিরাতের সাংস্কৃতিক সংগঠন ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের উদ্যোগে এতে ভাবগানের পাশাপাশি তুলে ধরা হয় তার জীবনকর্ম, আত্মশুদ্ধির সাধনা, জন্ম, মৃত্যু ও নানামুখী দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি।
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম সিআইপি প্রধান উপদেষ্টা শেখ ফরিদ আহমদ বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে আমাদের সংস্কৃতি আমাদের কৃষ্টি আমাদের ঐতিহ্যকে বাঙালিরা যেন ধারণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতেই আমাদের এ আয়োজন।’
একের পর এক পরিবেশন করা হয় লালনের বিখ্যাত গান, আবৃত্তি। নৃত্যের তালে ফুটে ওঠে লালনের স্বকীয়তা ও ভাবের প্রকাশ। উদ্যোক্তারা জানান, প্রবাসে প্রজন্মকে দেশের সাংস্কৃতিক শিখর ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে তাদের এ উদ্যোগ।
আরও পড়ুন:
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাফায়াত উল্লাহ বলেন, ‘লালন নিয়ে অনেক দেশের মধ্যে রিসার্চ হচ্ছে। আমরা যেন লালনের ঐতিহ্য ধারণ করতে পারি। লালনকে নিয়ে আমাদের সংগঠন যেন আরও আগাতে পারে সেজন্যই এ আয়োজন করা হয়েছে।’
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী ইফতেখার পাবেল বলেন, ‘শুধু আমরা গান শোনাইনি, লালনের জীবনী বলেছি। লালনের যে তত্ত্ব আছে তা পাঁচটি ভাগ করে আমরা আজকের আয়োজনটি করেছি। এখানে যারা ছিলো সবাই বুঝতে পেরেছে।’
লালনকে জানার তাগিদে টানা চার ঘণ্টার এ আয়োজনে বাংলাদেশ কমিউনিটির অনেক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।




