স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুন) ভোরে শ্রমিকদের আবাসিক ওই ভবনে আগুন লাগে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় আহত প্রায় ৪৩ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে নিহতদের মধ্যে ৪ জন ভারতীয় থাকার দাবি দেশটির সংবাদমাধ্যমের। আহত অর্ধশতের মধ্যে ৩০ জনই ভারতীয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের নিচতলায় অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল- যেগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় আগুন লেগে তা এতো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, মারা যাওয়াদের বেশিরভাগেরই ধোঁয়ায় মৃত্যু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আজ ভোরে কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলের মানগাফ শহরের বহুতল এই ভবনটিতে হঠাৎ বিকট শব্দে আগুন ধরের যায়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনে। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে ছেঁয়ে যায় চারপাশ।
ভবনটিতে গাদাগাদি করে কয়েকশো নির্মাণ শ্রমিক একসাথে বসবাস করতেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আগুন লাগার পর বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় অনেকের। আর এতেই প্রাণহানি ঘটে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের।
প্রাথমিক ধারণা, ভবনের নিচতলায় অনেক গ্যাস সিলিন্ডার রাখা এবং এসব সিলিন্ডারের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় আগুন লেগে যায়। তবে এর আসল কারণ তদন্ত করে বের করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
দমকলকর্মীদের কয়েকঘণ্টার চেষ্টার একপর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্ঘনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী ফাহাদ ইউসুফ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ভবনের মালিকের লোভের কারণে এতো ভয়াবহ পরিস্থিতি। সিটি করপোরেশনকে জানাবো, সব ভবন মালিকদের সঙ্গে কথা বলবো। যারাই নিয়মের লঙ্ঘন করবে, ব্যবস্থা নেয়া হবে। হয় ভবন মালিক ব্যবস্থা নেবে, না হয় আমরা নেবো। এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেয়া দরকার ছিলো। কিন্তু রিয়েল এস্টেট সবসময় অবহেলা করেছে। ফলশ্রুতিতে এতো মানুষের প্রাণ গেল।’
এদিকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, কুয়েতে দুর্ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেছে ভারতীয় দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।