সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুস সালাম, কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
প্রশ্নোত্তর পর্বে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই সংকোচনমূলক নীতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে নতুন বাজেটে। আগামীতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।'
ব্যাংকের তারল্য সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে তারল্য সংকট দুশ্চিন্তার কিছু নয়।'
এ সময় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবীদের সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে এখন টেলিভিশনের প্রতিবেদকের করা প্রশ্নের জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, 'সম্পদ প্রকাশের সুযোগ দিতে ও রিটার্ন দেয়া সহজ করতেই কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা হয়েছে।'
বিদেশি ঋণ নেয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, 'রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কখনোই শতভাগ অর্জিত হয়নি। আমাদের বাজেট ঘাটতিও খুব বেশি নয়। দুশ্চিন্তা করার মতো ভয়াবহ ঋণগ্রস্থ হয়নি সরকার।'
নতুন বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রার প্রসঙ্গে অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, 'এনবিআরের রাজস্ব আহরণ কম হবে ধারণা করেই অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়ার বড় পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।'
আলোচনায় নিত্যপণ্যের বাজার ও ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, 'নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর মত কোনো ঘোষণা নেই নতুন বাজেটে। চিনি ও তেলের দাম ভারসাম্যের অবস্থায় রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার মনিটরিং চলছে।'
প্রস্তাবিত বাজেটে সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবও করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা।
উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, 'এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ আইনিভাবেই দেয়া হয়েছিল। এটা বন্ধ করাও কষ্টসাধ্য হবে।'