প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে মূলধনী আয়কে অন্তত ১ বছর করমুক্তকরণ ও নতুন বিওধারীদের ৩ বছর করমুক্ত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। পাশাপাশি সাতটি বিষয়ে মতামত দিয়েছে সংগঠনটি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করা কর সমতা ও নায্যতাপূর্ণ সমাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।

বাজেটের তুলনায় রাজস্ব আহরণ অনেক কম হলেও এতদিন পর্যন্ত তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই অর্থনীতি যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে সে অবস্থায় বাজেটে যে পদক্ষেপই নেয়া হোক না কেন তা সুখকর হবে না বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আহমেদ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ (শুক্রবার, ৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আইএমএফের চাপ উপেক্ষা করে কৃষি ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়িয়ে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে সরকার। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে আগামী ৫ থেকে ১০ বছর কর ব্যবস্থাপনা স্থিতিশীল রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।

দেশে অব্যাহত ৯ শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতি আগামী ১২ মাসের মধ্যে কমিয়ে ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা বাজেটে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সেটিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আগামী অর্থবছরে সরকারের দেনা আরো বাড়ার পাশাপাশি বিদেশি ঋণের পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে রাজস্ব আহরণে যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে তা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়- বলছে সিপিডি।

নতুন প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মোবাইলে কথা বলার খরচ ও সিম কার্ডের দাম। এছাড়াও রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের দামও বেড়েছে। অপরদিকে পণ্যের যেমন দাম বেড়েছে তেমনি কিছু পণ্যের দাম কমেছেও। গতকাল (বৃহস্পতিবার, ৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নতুন প্রস্তবিত এ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

প্রস্তাবিত হলো সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। আসছে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ কমেছে পরিবহন ও জ্বালানি খাতে। বেড়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। তবে এবারের বাজেটের প্রায় ৩৫ শতাংশ চলে যাবে সুদ, ভর্তুকি ও বেতন ভাতায়। এডিপিতে বরাদ্দ বেড়েছে মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা। এবার আয় ব্যয়ের হিসাব মেলানোর পালা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আর্থিক খাতের সংস্কার, আবগারি শুল্প বাড়ানো, কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ এবং শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর কমানোসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা রাখা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার, ৬জুন) জাতীয় সংসদে আসন্ন বাজেট প্রস্তাবনার বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ কথা জানান।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক বাজেট বলে মন্তব্য করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। উদ্ভাবনী ও সাহসী পদক্ষেপ এই বাজেটে নেই বলেও জানায় সংস্থাটি।