ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির ভাগ্যে জুটেছে ২৪০ টি আসন। যেখানে সরকার গঠন করতে দরকার ২৭২ টি। নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় শরিক দলগুলোর কাঁধে ভর করে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি।
তবে, গেলবার লোকসভার নির্বাচনের ফলাফলের চিত্র ছিলো ভিন্ন। যেখানে বিজেপির দখলেই ছিল ৩০৩ টি আসন। তবে প্রশ্ন হলো বিগত ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা গেরুয়া দলটি কেন ধরে রাখতে পারেনি নিজেদের জনপ্রিয়তা। কেনইবা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্লেষনধর্মী এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপি। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে বিজেপির পতনের বেশ কয়েকটি কারণ।
বিজেপির সমালোচকরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের সংঘবদ্ধ করতে মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালান। এমনকি তার নির্বাচনি প্রচারণায় হরহামেশায় তিনি বলে বেড়ান, মুসলিমরা ভারতে অনুপ্রবেশকারী। বিরোধী কংগ্রেস যদি ভারতে ক্ষমতায় আসে তবে এ দেশের সম্পদ মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
তবে এ কৌশলে হিন্দু ভোটারদের দলে টানতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে বিরোধীদের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থনকেও করেছে শক্তিশালী। তাইতো ৫ বছরে প্রায় ৩৭ শতাংশ ভোট হারিয়েছে বিজেপি।
এছাড়াও ভারতের বেশিরভাগ ভোটারের মূল উদ্বেগের বিষয় ছিল বেকারত্ব কমানো। যেখানে ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকার।
বিজেপির বড় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর প্রদেশও তাদের হাত থেকে ছিটকে গেছে। ৮০ টি মধ্যে বিজেপি পেয়েছে কেবল ৩৩ টি আসন। সবাইকে তাক লাগিয়ে ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ৪৫ টি আসন। এমনকি নিজ আসনে বেনারসে দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জয় পেতে হয়েছে বিজেপি প্রধান নরেন্দ্র মোদিকে।
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রামমন্দির নির্মার্ণের বিষয়টিকে মোদির সফলতার ঝুড়িতে বড় অর্জন মনে করা হলেও সেই অযোধ্যাতেই জয় পাননি বিজেপি প্রার্থী। টানা দুইবারের সাংসদ লাল্লু সিংকে হারিয়ে এই আসনে বিজয়ী হন সমাজবাদী পার্টির অবধেশ প্রসাদ।