বিদেশে এখন

মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাবে উ. কোরিয়া, উস্কানি হিসেবে দেখছে দ. কোরিয়া-জাপান

হঠাৎই যুক্তরাষ্ট্র আর দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী অভিযোগ আনে, কোরীয় সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করছে এই দুই দেশ, যা স্পষ্টত নিরাপত্তা আর সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলছে। রোববার ( ২৭ মে) পিয়ংইয়ং অভিযোগ করে, যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপে ড্রোন আর বিমান উড়িয়েছে। অভিযোগ এসেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী আর কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর।

এরমধ্যে উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে, মহাকাশে আবারও স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। লুজন দ্বীপের পূর্বে ও লোহিত সাগর অভিমুখ থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে স্যাটেলাইটবাহী রকেট। সিউলে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন আর জাপানের তিনদিনের ত্রিপক্ষীয় সম্মেলন চলাকালীন এই ঘোষণা আসে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাতিলের দাবি করেছে জাপান। দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত তারা।

জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইওশিমাসা হায়াশি বলেন, 'আমরা সর্তক করে যাচ্ছি উত্তর কোরিয়াকে। আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর বাহিনী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার যদি স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা থাকে, তাও আবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, সেটা জাতিসংঘের নীতিবিরোধী। উত্তর কোরিয়া আমাদের সর্তকবার্তা দিচ্ছে। আমরা এই উৎক্ষেপণ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছি। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ব্যবহারই নিষিদ্ধ।'

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কলোনেল লি সাং-জুন বলেন, 'উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে সামরিক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাচ্ছে তারা। জাতিসংঘের নীতি পরিপন্থী। আমরা জাপান আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করবো যেকোনো ঝুঁকি মোকাবেলায়। আমি তাদের বলতে চাই  আমরা উষ্কানির বিরুদ্ধে পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা নিজেদের সক্ষমতা দেখাতে চাই।'

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম স্পাই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায় দেশটি। জাপানের কোস্টগার্ড জানায়, ৮ দিনের এই কার্যক্রম সোমবার থেকে শুরু করবে উত্তর কোরিয়া। এই সময়টায় কোরীয় উপদ্বীপ, ফিলিপিন্সের লুজন দ্বীপের কাছে সামুদ্রিক তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পর্যবেক্ষণ করবে জাপান। এই স্থানগুলোতে ভূপাতিত হতে পারে স্যাটেলাইট বহন করা রকেটের ধ্বংসাবশেষ।

এদিকে, মুক্ত বাণিজ্য জোরদারে ত্রিপক্ষীয় সম্মেলন হচ্ছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া আর চীনের। সিউলে তিনদিনের এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও চীনা প্রিমিয়ার লি কিয়াং। জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি রক্ষা করতে হবে তিন দেশের স্বার্থে।’ চীনা প্রিমিয়ার বলেন, 'তিন দেশের মুক্ত বাণিজ্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে জরুরি।' সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, 'তিন দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে জরুরি এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।'

এসময় আলোচনা হয় উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে স্পাই স্যাটেলাইট পাঠানোর বিষয়ে।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর