মঙ্গলবার (২১ মে) উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে জানাজা শেষে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৯ জনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেহরানে। পাঁচ শহরে জানাজা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাশহাদ শহরে দাফন করা হবে ইব্রাহিম রাইসিকে।
এক ইরানী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, 'দুর্ঘটনার খবরে সবাই স্তব্ধ হয়ে গেছি। তিনি জনগণের প্রেসিডেন্ট ছিলেন যিনি দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন।'
আরেকজন বলেন, 'আমাদের আরও প্রেসিডেন্ট শহীদ হয়েছেন। আমরা আরও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। আশা করছি এই শোক আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো।'
ইব্রাহিম রাইসি নিহতের ঘটনায় অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তায় জানানো হয়, ইরানের জনগণের গণতন্ত্র ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী জো বাইডেন সরকার। যদিও নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, রাইসির হাত নিরপরাধ মানুষের রক্তে রঞ্জিত ছিল। তিনি জানান, হেলিকপ্টার উদ্ধারে ইরানের পক্ষ থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। তবে নানা জটিলতায় সহায়তা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বিষয়টি স্পষ্ট করেননি ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, 'প্রাণহানির জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে কারও মৃত্যু দেখতে চাই না। তবে দুর্ঘটনাটি একজন বিচারক ও ইরানের রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার পরিসংখ্যানকে পরিবর্তন করতে পারবে না। তার হাত রক্তে রঞ্জিত ছিল।'
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। দুর্ঘটনার কারণ কী, এ সম্পর্কিত তথ্য নেই পেন্টাগনের কাছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'তদন্তের মাধ্যমে তাদেরই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে হবে। বিভিন্ন বিষয় দুর্ঘটনার পেছনে দায়ী থাকতে পারে। যেমন কারিগরি ত্রুটি কিংবা পাইলটের ভুল।'
ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় নীরবতা পালন করা হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। সংস্থাটির মুখপাত্র জানান, রাইসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ থাকলেও সহকর্মী হিসেবে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
এদিকে দায়িত্ব নিয়েই ২৮ জুন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের।