আজ (সোমবার, ২৯ এপ্রিল) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত অপর আরেক আদেশে দখলকারীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানাতে বলেছেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্থানীয় সরকার সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এই আইনজীবী বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে উপার্জন করছেন কিছু ব্যক্তি। এতে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলও বিঘ্নিত করছেন, শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়ের করে।’
মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর রুল জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে দখলকারীদের তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট ওই কমিটির সভাপতি ড. মলয় চৌধুরীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেখা যায়, ফুটপাতে দোকান বসানো দখলের সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে সবার আলোচ্য সূচিতে।
ওই সভায় ১৫ দিনের মধ্যে রাজউক ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে বিদ্যমান ওয়াকওয়ে ও ফুটপাতের তালিকা ও অবৈধভাবে তা দখলকারীদের তালিকা দাখিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অপর আরেক সিদ্ধান্তে ফুটপাত ভাড়া ও বিক্রির অবৈধ অর্থ আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও রাজউককে নির্দেশনা দেওয়া হয়।