যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করেও সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সরাতে পারেনি।
গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তিনদিনের মধ্যে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের আদেশ দেন। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সানজিদ সিদ্দিকী ও তাহসিনা মৃদু।
সড়কে অবরোধ করছে অটো রিকশা চালকরা। ছবি: এখন টিভি
প্রথমদিকে প্রধান প্রধান সড়কে না চললেও গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এটি ভয়ংকর রূপধারণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেপ্টেম্বর মাসে ৫০ হাজার, আর অক্টোবর মাসে ৬৬ হাজার ব্যটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এসব রিকশার ব্যাটারি জব্দ করে নিলামেও তোলা হয়েছে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্যমতে, বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে চলছে আট লাখেরও বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘোষণা দেয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। এরপর আন্দোলনে নামে রিকশাচালকরা। এর পাঁচ দিন পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সড়ক ছাড়া অলিতে-গলিতে এসব রিকশা চলাচলের অনুমতি দেন।