গত চার দশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের উত্তরণের পথে সবচে বড় ভূমিকা শ্রম নির্ভর ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। যেখানে সবচেয়ে এগিয়ে তৈরি পোশাক শিল্প। আন্তর্জাতিক মানদন্ড ইএসজিবিসি অনুযায়ী, দেশে পরিবেশবান্ধব সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা ২১৫টি। যার মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কারখানার ৫৫টিই বাংলাদেশে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি প্রতিযোগতিায় টিকতে এই সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায় ৭ কোটি শ্রমিকের দেশে স্বীকৃত কারখানার সংখ্যা ২৮ হাজারের বেশি। যেখানে কর্মরত প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিক। এসব শ্রমিকের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে যত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তার মধ্যে সবুজ কারখানা প্রকল্পটি এগিয়েছে বেশ। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে না হলেও সবুজ কারখানার স্বীকৃতি স্বরূপ দেশের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হলো পরিবেশবান্ধব সম্মাননা। এর মধ্যে আছে তৈরি পোশাক, টাইলস অ্যান্ড সিরামিক খাত, চামড়া, ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি সংক্রান্ত বিধিবিধান পালনকে সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে যা আরও এগিয়ে নিতে চান উদ্যোক্তরা। এছাড়া অন্যদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান তাদের।
কারখানার মালিক একজন বলেন, 'কাজের যখন স্বীকৃতি পাওয়া যায় তখন ভালো লাগে।'
আরেকজন বলেন, 'আমরা আশা করছি শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে সুন্দর কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবো।'
শ্রমিকবান্ধব শিল্প কারখানা গড়ে তোলার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর। আর নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকের সুস্থতা নিশ্চিত করলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা তার।
জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, 'পেশাগত স্বাস্থ্য এবং সেফটি নিশ্চিতকরণে ও শোভন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকলের আগ্রহে নেওয়া হচ্ছে। কারণ এর মধ্যে দিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।'
গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা-২০২০ এর আওতায় ১২টি খাতের মোট ২৯টি কারখানা বা প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। যেখানে তৈরি পোশাক খাত পেয়েছে ১৪টি।