
এলডিসি উত্তরণে রপ্তানি ঝুঁকি দেখছেন ব্যবসায়ীরা, সময় বাড়ানোর পরামর্শ
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সব শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করায় ২০১৮ সালে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি সিডিপির সুপারিশ অর্জন করে। তবে ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, তথ্য-উপাত্ত নির্ধারণে ব্যবহৃত পদ্ধতি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। তাদের আশঙ্কা, এ মুহূর্তে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের সংকটে পড়বে দেশ। অন্যদিকে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রভাব এবং ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে বিবেচনায় রেখে, উত্তরণের সময় আরও কিছুটা বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

এলডিসি উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখবে ডব্লিউটিও
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির সময় যথেষ্ট সমর্থন ও কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

আমাদেরকে স্বনির্ভর হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার হতে হবে যে আমরা আর পরনির্ভর হতে চাই না। আমাদেরকে স্বনির্ভর হতে হবে। এখন যেহেতু পরনির্ভর হয়ে আছি। এর থেকে যত দ্রুত সম্ভব বের হওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এর বাইরে আর কোনো কথা নাই।

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের দক্ষতা ও প্রতিযোগী মনোভাব তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে সহায়তা করবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকানজো ইওয়েলা।

অর্থনীতির নানা সূচকে গরমিল: তড়িঘড়ি করে এলডিসি উত্তরণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল!
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গরমিল শুরু হয় রপ্তানি তথ্যে। যা উঠে আসে বিদায়ী অর্থবছরের শেষ সময়ে। এতে জিডিপির আকার থেকে শুরু করে কমবে মাথাপিছু আয়, অর্থনীতির নানা সূচক। এমন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আর্থিক কাঠামোয় ভর করে এলডিসি থেকে উত্তরণ কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। তড়িঘড়ি করে এলডিসি উত্তরণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে আরও সময় নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ থেকে কার্যালয় সরিয়ে নিচ্ছে বিদেশি কোম্পানিগুলো
চলমান পরিস্থিতিতে উৎপাদনমুখী, আমদানি-রপ্তানি ও বিদেশি বিনিয়োগনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি-ফিকি'র। একইসঙ্গে মোবাইল ইন্টারনেটসহ ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ থাকায় নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমেছে আগের এই সময়ের চেয়ে অন্তত ৬ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ইমেজ সংকট কাটিয়ে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষগুলোকে দক্ষ হতে হবে।

দেশের ২৯টি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব পুরস্কার
পরিবেশবান্ধব পুরস্কার পেলো দেশের ১২ খাতের ২৯টি কারখানা। গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা-২০২০ এর আওতায় দেয়া হয় এ পুরস্কার। যেখানে তৈরি পোশাক কারখানা পেয়েছে ১৪টি পুরস্কার। নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকের সুস্থতা নিশ্চিত করলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সহায়তায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ: পিটার হাস
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, স্বাধীনতার পর উন্নয়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে অর্থনীতি, রাজনীতি এবং আইনের শাসনের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করতে দৃঢ়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানান পিটার হাস।