কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে পুড়ছে প্রকৃতি। এমন আবহাওয়ায় কুমিল্লার কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত। পাকা ধানের ঘ্রাণে মোহিত হচ্ছে চারপাশ। তবে তীব্র গরমে কৃষক, শ্রমিকদের হাঁসফাঁস অবস্থা। এতে শ্রমিক সংকট তৈরি হয়েছে। বাড়তি মজুরি দিয়েও ধান ঘরে তুলতে হিমশিম অবস্থায় কৃষকরা।
কৃষকরা বলেন, ‘এবার অনেক গরম। এই গরমে শ্রমিকদের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। কাজের মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।’
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জুনায়েদ কবির খান বলেন, বোরো ধানে হিটশক বা গরম বাতাসে ধান চিটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই জমিতে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানির সেচ এবং এমওপি সার মিশ্রিত পানির স্প্রে করতে হবে।
এছাড়া আম, কাঁঠাল ও লিচুর ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদের নানান পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বোরো মৌসুমে কুমিল্লায় এক লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।
তাপপ্রবাহ আর খরায় মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির অবস্থা উত্তরের জেলা নওগাঁয়। ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। ধান বাঁচাতে বাড়তি সেচের পাশাপাশি পোকা দমনে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।
কৃষকরা বলছেন, সকালে সেচ দিলে বিকেলেই মাঠের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। খরায় বাড়তি সেচের কারণে বিঘাপ্রতি প্রায় ১ হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে।
নওগাঁ সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান রনি জানান, খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কাঠফাটা রোদে নীলফামারীতে গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার পরও শুকিয়ে যাচ্ছে সবজির ক্ষেত। এই সময়ে যে গাছগুলো মাচায় উঠে যাওয়ার কথা, সেগুলো বাড়তে পারছে না। তুলনামূলক উঁচু জমিতে বেশি সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন সবজির চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে সেচ খরচ। ফসল রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
নীলফামারীতে এ বছর ১ হাজার ৩৪৭ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ হয়েছে।