দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত নগরী ঢাকা, ঈদের ছুটিতে এখন অলস দিন পার করছে। নেই চিরাচরিত সেই তাড়া বা নাগরিক ব্যস্ততা। উদাস দুপুরে অফুরন্ত তার অবসর। যেন শান্ত বালক হয়ে উপভোগ করছে মৌনতা।
পরিবারের সাথে ঈদ করতে ঢাকা ছেড়েছে এক থেকে দেড় কোটি নগরবাসী। তাই চিরচেনা সেই অসহনীয় যানজটও আর নেই। নেই আগের মতো গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। বেশিরভাগ গাড়ি বেরিয়েছে ফাঁকা শহরে ঘুরে বেড়াতে। ৩ ঘণ্টার পথ ৩০ মিনিটে পাড়ি দিয়ে খুশি অনেকে।
নগরবাসী বলেন, যাত্রাবাড়ি থেকে শাহবাগ আসতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লেগে যেতো। আর আজ ৩০ মিনিটও লাগেনি। গণপরিবহন এখন ভীষণ স্বস্তির। সবখানে খুব আরামে যাতায়াত করতে পারছি। যেহেতু এলিভেটেড ও মেট্রোরেল হয়েছে তাই স্বস্তির একটা ঢাকা শহর আমরা প্রত্যাশা করি। এখন নগরীর আবহাওয়াটা মানুষের জন্য উপযোগী।
ফাঁকা নগরীতে ট্রাফিক পুলিশরা কিছুটা অবসর পেয়েছে। ছবি: এখন টিভি
চৈত্রের শেষ ভাগে ঈদ এসে দূষণ থেকেও ছুটি দিল শহরকে। যান্ত্রিক কোলাহল, অপরিচ্ছন্ন নগরী, কালো ধোঁয়া, দূষিত বাতাস কিংবা উচ্চস্বরে হর্ন অনেকটাই কমেছে।
রাজধানীর বিজয় সরণির ট্রাফিক সিগন্যালও এখন আর বিরক্তির কারণ নয়। নেই বনানীর সেই তীব্র যানজট। ট্রাফিক পুলিশদের মিলেছে কিছুটা অবসর। ঘণ্টার মধ্যে চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা ডিউটি করে আগের তুলনায় স্বস্তিতে পাচ্ছি। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।
অনেকেই বলছেন, যানবাহন কম তাই কমেছে যানজট। তবে শৃঙ্খলা নেই শহরে। ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতে প্রায় কেউই মানছেনা সিগন্যাল বাতি। তবে কোথাও কোথাও সিগন্যাল বাতি নেই সেটিও সত্য।
দমকা হাওয়ার মতোই, ঈদের ছুটিতে হুট করে শহর জুড়ে বইছে স্বস্তির সুবাতাস। এই কর্মব্যস্ত শহর যেন একটু জিরিয়ে নিচ্ছে আবার আপন গতিতে ফেরার অপেক্ষায়।