হবিগঞ্জের সদর উপজেলার গদাইনগর গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ থেকে কিশোর বাঁশ ও বেতের পণ্য তৈরি করেন। এটিই তাদের জীবিকা।
বৈশাখ এলে ব্যস্ততা বাড়ে এখনকার কারিগরদের। এসময় বোরো ধান ঘরে তুলতে বাঁশের চাটাই, টুকরি, মাথাল, কুলাসহ নানা পণ্যের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। দুইশ' টাকার বাশঁ কিনে তা দিয়ে চাটাই তৈরি করার পর সেটি বিক্রি হয় হাজার টাকায়।
বাঁশের এসব পণ্য গ্রামীণ হাট ঘুরে চলে যায় জেলা শহরেও। তবে বাঁশ-বেতসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়ায় বৈশাখ মাসে পণ্যের দাম বাড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।
মাসখানেকের জন্য চাহিদা বাড়লেও অন্যসময় চাহিদা কম থাকা ও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় তাদের হিমশিম অবস্থা। যার কারণে এরইমধ্যে অর্ধেকের বেশি পরিবার পেশা বদল করেছেন। যারা এখনও টিকে আছেন তারাও পেশা বদলের চেষ্টায় আছেন।
স্থানীয় তথ্য বলছে, হবিগঞ্জ জেলায় ৫শ'রও বেশি পরিবার বাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত। তবে এর কোনও হিসাব নেই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের কাছে। যদিও সংস্থাটি বলছে, কেউ চাইলে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহযোগিতা করা হবে।
হবিগঞ্জের বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, 'বিসিকের নিজস্ব একটা ঋণ তহবিল আছে। এই তহবিল থেকে বিসিক শিল্প উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করে আসছে।'
বাঁশের তৈরি পণ্যে লেগেছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। চাহিদাও বাড়ছে বহির্বিশ্বে। তাই এই শিল্প সংশ্লিষ্টদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ালে বাঁশের তৈরি পণ্য রপ্তানিরও সম্ভাবনা রয়েছে।