পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, লামা এবং আলীকদমে একসময় বেশিরভাগ জমিতে চাষ হতো তামাকের। এখন সে জায়গায় আখ চাষ করছেন চাষিরা। সেই আখ থেকে আবার গুড়ও উৎপাদন করছে অনেকে। এখানে সিও-২০৮, রং বিলাস- ৪১, ৪২, ৪৩ বিএসআরআই, অমৃতসহ চাষ হচ্ছে নানা জাতের আখ।
পাহাড়ের উৎপাদিত আখের গুণগতমান ভালো ও খেতে সুস্বাধু হওয়ায় বাজার এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। প্রতিটি আখ বাজার বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তাই স্বল্প মূলধন ও কম পরিশ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় সফলতার মুখ দেখছেন প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা। অনেকেই এখন আর তামাক চাষ করছেন না। কয়েকজন জানান, আখ চাষ করে সবাই পরিবার নিয়ে খুব ভালো আছেন।
পাহাড়ে কৃষকদের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান ইক্ষু গবেষণা ইনিস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অসীম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'তামাক চাষের ব্যাপকতা এখন কম। এখন তারা আখ চাষ করছেন এবং সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরেছে। খুব ভালো গুড়ও উৎপাদন করছে।'
২০০৬ সালে বান্দরবানে কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে আখ চাষ।