২ বছর পেরিয়ে গেলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। এর মধ্যেই গাজায় ঊর্ধ্বমুখী ইসরাইলি আগ্রাসনের মাত্রা। আর এসবের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের উস্কানি আছে বলে দাবি করে ইরান, চীন ও রাশিয়া। যার কারণে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে দেশগুলো।
এরই মধ্যে ইউক্রেনে অভিযানের জেরে রাশিয়া বনাম পশ্চিমাদের ছায়াযুদ্ধ ক্রমেই রূপ নিচ্ছে সত্যিকারের সংঘাতে। রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে কোনোভাবে সংঘাত বাধলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ অনিবার্য বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও দিলেন সেই আভাস।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, 'রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘাত শুরু হলে সেটি হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আমি মনে করি না কেউ এতে আগ্রহী। তবে পরিস্থিতিকে উস্কে দিচ্ছে। কারণ ইতোমধ্যে ইউক্রেনে ন্যাটো সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে। প্রায়ই সেখানে ফরাসি বক্তৃতা এবং ইংরেজিতে বক্তৃতা শুনতে পাই। এর মধ্য দিয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না।'
এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইরান। তাদের দাবি- রাশিয়া, হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করছে তেহরান। আর এ কারণেই তারা যুদ্ধ করার সাহস পাচ্ছে। এমনকি যুক্তি হিসেবে এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হামলা আতঙ্ককে দেখানো হচ্ছে।
এসব ঘিরে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শত্রুতার সমীকরণ ক্রমেই জটিল হচ্ছে। তাই কার সামরিক ভাণ্ডার কত শক্তিশালী, তা নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৪ সালের সর্বশেষ হিসেব বলছে, সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুর্কিয়ে ও ইতালি। আর ইরানের অবস্থান ১৪তম।
ইরানের অস্ত্রভাণ্ডার যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কম হলেও, তা অনেক শক্তিশালী বলে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। তাছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগও মনে করে, স্বল্প আর মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির দিক দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইরান। এমনকি বাড়িয়েছে অত্যাধুনিক ড্রোন সক্ষমতা।