কৃষি
0

কুষ্টিয়াসহ ৪ জেলায় বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কা

কুষ্টিয়ার গঙ্গা-কপোতাক্ষ জিকে সেচ প্রকল্পের ৩টি পাম্পই বিকল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের ৪টি জেলার কয়েক লাখ কৃষক।

বছরের এই সময়টাতে দেশের সবচেয়ে বড় গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খালগুলোতে পানি থাকে। তবে এবারের চিত্র একবারেই ভিন্ন। সবগুলো খালই যেন পানিশূন্য। এতে জিকের সেচপ্রকল্পের আওতায় থাকা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার ১৩ উপজেলার কয়েক লাখ কৃষক পড়েছেন বিপাকে। জিকে সেচ প্রকল্পের তিনটি পাম্পের মধ্যে ২টি পাম্প আগে থেকেই বিকল থাকায় ১টি পাম্প দিয়ে কোনরকমে সেচ কাজ চললেও সম্প্রতি সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। সেচের অভাবে ফসল উৎপাদন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

এদিকে সময়মতো পানি না পাওয়ায় অনেক কৃষকের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। উপায় না পেয়ে অনেকে আবার স্যালো মেশিন দিয়ে পানি তুলে করছেন চাষাবাদ। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।

কৃষকরা জানান, এখন এক হাজার টাকার পানি তিন হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এতে প্রতি বিঘাতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে।

পাম্পগুলো কবে চালু হবে তার কোনও নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছেন না জিকে প্রকল্পের মরফোলজি বিভাগের কর্মকর্তা। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের মরফোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রইচ উদ্দিন বলেন, 'আমি স্যারদের সাথে কথা বলেছি খুব শিঘ্রই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। সেচ পাম্প মেরামতের কাজ শুরু হবে।'

কুষ্টিয়া পাম্প ষ্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, 'গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাম্প বন্ধ হয়ে গেছে। যে সমস্যা আছে সেটা ঠিক করার জন্য আমরা চেষ্টা করতেছি।'

দ্রুত সময়ের মধ্যে জিকে সেচ ব্যবস্থা চালু না করা গেলে হুমকির মুখে পড়বে ৪ জেলার প্রায় লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদন।

ইএ