সত্তরোর্ধ্ব মমতাজ বেগম। বয়সের মতই এগিয়ে চলতে দেখেছেন নদীকেও, পাড় ভেঙ্গে। সুগন্ধার বোয়ে চলার পথেই, তার ভিটেমাটি, সাজানো সংসার হারিয়েছেন বহুবার।
মমতাজ বেগম বলেন, ‘ভাঙতে ভাঙতে সব নদীতে চলে গিয়েছে।’
সাম্প্রতিক বন্যা পরবর্তী সময়ে ভাঙন দেখা দেয় ঝালকাঠি সদরের সাচলিপুর, দেউড়ি, দিয়াকুল, রাজাপুরের বাদুড়তলা, নলছিটির কাঠিপাড়া ও কাঠালিয়াসহ বেশকিছু এলাকা। সুগন্ধা ও বিশখালি নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটাসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা স্থাপনা। এখন ভাঙন ঝুঁকিতে দোকানপাটসহ বেশকিছু বাড়িঘর।
স্থানীয়রা বলছেন, স্থায়ী বাঁধ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙনের কবলে পড়তে হয় তাদের। কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও গত কয়েক বছরের দুর্যোগে তা ভেঙে গেছে।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘জিও ব্যাগ ফেলিয়ে আমাদের স্থায়ী কোনো সমাধান নেই।’
আরেকজন বলেন, ‘বেড়িবাঁধ থাকলে আমাদের একটু ভালো হতো। নদী ভাঙন থেকে বাঁচতে পারতাম।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে এরই মধ্যে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ১৩ কিলোমিটার এলাকার ৬০টি স্থানে সিসি ব্লক দেয়া হবে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, ‘এখানে ১৩.২১৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এখানে ব্লক ও সিসি ব্লক দ্বারা কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।’
জিওব্যাগ বা সিসি ব্লকের অস্থায়ী বাঁধ নয়, ভাঙন রোধে স্থায়ী ও টেকসই বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।