পানি-উন্নয়ন-বোর্ড
সিডরের ক্ষত বুকে নিয়েই টিকে আছে উপকূলবাসী
২০০৭ সালে, ১৭ বছর আগে এই ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় উপকূলীয় জেলা বরগুনা। সে ক্ষত বুকে নিয়েই আশার বসতি গড়ে তুলছেন উপকূলীয় বাসিন্দারা। তবে দীর্ঘ সময় পরেও দুর্যোগ মোকাবিলায় টেকসই কোনো সমাধান মেলেনি প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর।
নদী ভাঙনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ফেনীবাসীর দিনযাপন
ফেনীতে তীব্র আকার ধারণ করেছে নদী ভাঙন। জেলার ছোট ফেনী, সিলোনিয়া ও কালীদাস পাহালিয়া নদীর অন্তত ৪০টি স্থানের অব্যাহত ভাঙনে এরইমধ্যে বিলীন হয়েছে বসতি, কৃষি জমি ও সড়ক। এ অবস্থায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন ভাঙন কবলিতরা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মুছাপুরে রেগুলেটর পুনঃনির্মাণ না করা পর্যন্ত ভাঙন রোধ করা যাবে না।
অসময়ের নদী ভাঙনে টাঙ্গাইলে গৃহহীন অন্তত ১৫ পরিবার
টাঙ্গাইলের চরপৌলী এলাকায় অসময়ে যমুনায় তীব্র ভাঙন। বসতভিটা হারিয়ে দিশেহারা অন্তত ১৫ পরিবার। সারা দিন পার করছেন চরম আতঙ্কে। নিম্নমানের বস্তা দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের অভিযোগ তাদের। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ইউএনও। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে- ভাঙনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ
ঘূর্ণিঝড় 'দানা' সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা না থাকলেও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। অন্তত নয়টি পয়েন্টে ছয় কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য জলোচ্ছ্বাসের এসব পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ নয়, প্রযুক্তি ব্যবহারের দাবি উপকূলবাসীর
উপকূলীয় এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচার জন্য ঘূর্ণিঝড় - জলোচ্ছ্বাস সহিষ্ণু বেড়িবাঁধ তৈরি করা প্রয়োজন। এমনই দাবি করেছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। তীব্র ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এখন শুধু মাটি দিয়ে নয়, বেড়িবাঁধ নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বরিশাল বিভাগে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি পাশ হলে উপকূলবাসী টেকসই বেড়িবাঁধ পাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনলেই আতঙ্কিত হন উপকূলবাসী
বিগত বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের মেরামত শেষ না হওয়ায় চিন্তিত উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষত যেতে না যেতে আর এক ঘূর্ণিঝড়ের আসার খবরে আতঙ্কিত তারা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। অপরদিকে জীবন বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
নদী ভাঙনে নোয়াখালীতে বিলীন মাইলের পর মাইল জনপদ
নোয়াখালীর মুছাপুরে রেগুলেটর ভেঙে জোয়ার-ভাটার প্রভাবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিলীন হচ্ছে মাইলের পর মাইল জনপদ। ভাঙন রোধে নদীর গতিপথ পরিবর্তনে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রাথমিকভাবে সমাধান হলেও স্থায়ী সমাধান চায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৃষ্টি কমায় শেরপুরের তিন উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
বৃষ্টি কমে যাওয়ায় শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি আরও কমেছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে। পানি বাড়লেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নদীভাঙনে দিশেহারা বরিশালবাসী, থমকে আছে গ্রামীণ অর্থনীতি
বরিশালে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে রাস্তা ঘাট, ফসলি জমি আর বসতবাড়ি। ভিটে হারিয়ে দিশেহারা অনেক পরিবার। যাতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। ভাঙ্গন রোধে নানা পরিকল্পনা ও কার্যক্রম চলমান রয়েছে, বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ময়মনসিংহে পানিবন্দি ৩০ হাজার পরিবার, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
বৃষ্টি কমায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানিবন্দি এখনো দুই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের এক লাখের বেশি মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। নৌকার অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে পারছেন না দুর্গতরা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বৃষ্টি কমে গেলে ১ থেকে ২ দিনের মধ্যেই পানি নেমে যাবে। আর জেলা প্রশাসক জানালেন, বন্যার্তদের পাশে আছে সরকার।
বন্যা-জলাবদ্ধতায় সিলেটের ঈদ আনন্দে বিষাদ
ঈদুল আজহা অনাবিল আনন্দ নিয়ে আসলেও তার ছোঁয়া লাগেনি সিলেটের বানবাসীদের গায়ে। জলাবদ্ধতা ও বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেটের লাখো মানুষ।
নদী থেকে বালু উত্তোলন দস্যুতায় পরিণত হয়েছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
নদী থেকে বালু উত্তোলন জাতীয় দস্যুতায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ (সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।