বাজার
0

খাতুনগঞ্জ বাজারে ৩ দিন ধরে বাড়ছে চিনির দাম

এস আলম কারখানায় আগুন লাগার পর চিনির দাম না বাড়াতে সরকারের পরার্মশ আর প্রশাসনের হুঁশিয়ারি, কোন কিছুই থামাতে পারছে না ব্যবসায়ীদের। সংকটের অজুহাতে খাতুনগঞ্জের বাজারে গত ৩ দিন ধরে বাড়ছে চিনির দাম।

এস আলম কর্তৃপক্ষ এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে চিনির কারখানার আগুন বাজারে কোন প্রভাব ফেলবে না। তবে বাজার চলছে উল্টোপথে।

আগুন লাগার খবরের পরদিন বাজারে প্রতি বস্তা চিনির দাম বাড়ে ২০ টাকা, এরপর ৮০ টাকা এবং বৃহস্পতিবার বাজারে দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ৪ টাকা। বর্তমানে বাজারে পাইকারিতে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ টাকায় দরে।

এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগে অপরিশোধিত চিনির গুদামে। পরিশোধিত চিনি অক্ষত থাকায় ঘাটতি হওয়ার কথা না। তবুও অদৃশ্য কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দাম।

 জিরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোজাম্মেল বলেন, 'এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার পর থেকেই চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঢাকার থেকেও কোন চিনি আসতেছে না। ফ্রেশ ও তীরের চিনিও আসতেছে না। তাই আমরা বিক্রিও করতে পারতেছি না।'

দেশে প্রতিমাসে চিনির চাহিদা থাকে এক লাখ টনের মতো। রোজায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ থেকে আড়াই লাখ টনে। রমজানকে ঘিরে দেশে চিনি আমদানীর চিত্রও উর্ধ্বমুখী। জানুয়ারিতে দেশে ৯৩ হাজার টন চিনি আমদানি হয়। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ২৭ হাজার টনে।

চট্টগ্রাম বন্দরে আরও দুটি জাহাজে ১ লাখ ১২ হাজার টন চিনি খালাসের কার্যক্রম চলছে। দাম বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম সংকটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জের আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, 'আমরা বাজারে ভারতের পণ্য কিনে বিক্রি করছি। আগুন লাগছে তাই মিল থেকে চিনি আনতেছে না, হয়তো আগামীতে আসবে।'

চট্টগ্রামের চিনির বাজার মূলত এস আলম গ্রুপের দখলে। দেশে আরও ৫ টি কোম্পানি চিনি বাজারজাত করলেও তাদের পণ্য সেভাবে মেলে না। ফলে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক না করলে চিনির বাজারে স্বস্তি মিলবে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

৪ মার্চ চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর ইছানগরে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার একটি গুদামে আগুন লাগে। এই কারখানা থেকেই দৈনিক প্রায় ১ হাজার টন চিনি বাজারে সরবরাহ করা হয়। যা বাজারে চাহিদার ১০ শতাংশ।

এভিএস