বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে সচিবালয়ে লাগা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচটি মন্ত্রণালয়। পুড়ে গেছে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অসংগতির প্রমাণ ছাড়াও মন্ত্রণালয়গুলোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি। যার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানাতে ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ পুরোটাই হত অ্যানালগ পদ্ধতিতে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, 'পিরোজপুর জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের যে বরাদ্দ দেয়া হতো সেখানে অর্থ লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ আমরা পেয়েছি। এর সাথে সাবেক মুখ্য সচিবেরও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফাইলগুলো ছিল মন্ত্রণালয়ে, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নথির কার্যক্রম অনলাইনে থাকার কারণে সেটা আমরা রিকভার করতে পারবো। কিন্তু স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পুরোটাই অ্যানালগভাবে হয়, পুরোটাই ফাইলে হয়। সুতরাং যে নথিগুলো পুড়ে গেছে সেগুলো কতটা রিকভার করা যাবে সেটার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করার জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কমিটি আমরা করেছি।'
নাশকতা ও ষড়যন্ত্রের বিষয়টি মাথায় রেখেই এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হবে বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'একটি জরুরি সভা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে। আমাদের সকলের নিরাপত্তার বিষয়। এবং এখানে আমাদের রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলো থাকে। ফলে এই বিষয়টাকে সরকার খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।'
অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপদেষ্টা জানান তথ্য থাকলে সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নিতো।