চিনিতে আমদানি শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগের নির্ধারিত শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ (বুধবার, ৯ অক্টোবর) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে এনবিআর।

আন্তর্জাতিক বাজারে ধারাবাহিকভাবে কমেছে চিনির দাম। পর্যাপ্ত উৎপাদন ও অনুকূল আবহাওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে পণ্যটির। গেলো ছয় মাসে পণ্যটির দাম কমেছে প্রায় ১শ’ ৬৫ ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২৪ শতাংশ কমেছে পণ্যটির দাম। কিন্তু দেশের বাজারে কমেছে মাত্র ১৩ শতাংশ। এ অবস্থায় দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১শ’ ১৯ টাকায়। আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১শ' ২৫ থেকে ১শ’ ৩০ টাকায়।

দেশের বাজারে অবৈধ ভারতীয় চিনি আসায় সরকার বছরে তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন।

এস আলম কারখানায় আগুন লাগার পর চিনির দাম না বাড়াতে সরকারের পরার্মশ আর প্রশাসনের হুঁশিয়ারি, কোন কিছুই থামাতে পারছে না ব্যবসায়ীদের। সংকটের অজুহাতে খাতুনগঞ্জের বাজারে গত ৩ দিন ধরে বাড়ছে চিনির দাম।

রমজানে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ‘রমজানে কোনোভাবেই বাজার অস্থির করতে দেয়া হবে না।’

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ১০০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। তাই পূর্বের দাম ৭০ টাকায় টিসিবির কার্ডধারীরা চিনি কিনতে পারবেন।

ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়াল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, টিসিবি। সেজন্য ৭০ টাকা নির্ধারিত মূল্য থেকে ৩০ টাকা বেশি দিয়ে এখন ১০০ টাকায় চিনি কিনতে হবে টিসিবি কার্ডধারীদের।

রমজান মাস ও জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে সরকার। ফলে পূর্বের নির্ধারিত কেজি প্রতি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা বহাল রইলো।

রোজার আগেই সরকারি চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এই নিয়ে প্রতিকেজি চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। যা আগে ১৪০ টাকা ছিল।