দুর্নীতির তথ্য নিশ্চিহ্ন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে সচিবালয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। নিজের ভেরিফাইড পেইজে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরেন।
আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লিখেছেন, 'স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থলোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনও জানা যায়নি। আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। এই মুহূর্তে আছি নীলফামারিতে, যতো দ্রুত সম্ভব ঢাকা ব্যাক করছি।'
একই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
হাসনাত আবদুল্লাহ তার পোস্টে লিখেছেন, 'ফ্যাসিজমের এনাবলারদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা দেখানোর পরিণাম এই কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে। হাসিনার ঘি খাওয়া ফ্যাসিস্ট এনাবেলররাই এখন মানবাধিকারের আলাপ দিয়ে ফ্যাসিস্টদের পক্ষে 'সিমপ্যাথি গেইন' ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এই ক্যাম্পেইন না থামাতে পারলে আপনি শেষ। আজকে আমলা আগামীকাল অন্য কেউ।'
সারজিস আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, 'বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের যারা চাটার দল ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম স্টেকহোল্ডার ছিল আমলাদের বড় একটা অংশ। এদের উপর ভর দিয়েই হাসিনা এই দেশে তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল।'
তিনি আরও লিখেন, 'যখনই বিপ্লবীরা হাসিনার অপকর্ম, চুরি, লুটপাট, দুর্নীতির দিকে নজর দিয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে তখনই সচিবালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইলগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে দিলো। রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে সবার আগে আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনে যেসব চাটার দল এখনো ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে তাদের শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। সাবধান করার সময় আর নাই।'
সবশেষে উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফ মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে সারজিস লেখেন, 'নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম ভাই, বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন। পুরো বাংলাদেশে আপনাদের সাথে আছে।'