চালের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। আমনের ভরা মৌসুমে কেন দাম বেশি? যৌক্তিক মনে করছেন না স্বয়ং মন্ত্রী নিজে। আর তাই কারণ অনুসন্ধানে অংশীজনদের কথা শুনতে এবার স্বশরীরে বগুড়ায় হাজির খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বাজার-মনিটরিং তদারকির প্রশ্নে নিজ দফতরের কর্মকর্তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
বলেন, ‘দাম বাড়ুক বা না বাড়ুক বাজার মনিটরিং করে যেতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং করলে আমাদের এ অবস্থায় পড়তে হতো না।’
মনোযোগ দিয়ে পর্যায়ক্রমে খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতা, আড়ৎদার, মিলার এবং কর্পোরেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কথা শোনেন মন্ত্রী। কিন্তু কোন পক্ষই একে অপরকে এক রত্তিও ছাড় দিতে রাজি হয়নি। দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের মধ্যদিয়ে বক্তব্য শেষ করেন ব্যবসায়ীরা।
চালের বাজারে এই অস্থিরতার কারণ হিসেবে খাদ্য, কৃষি বিভাগের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারী কর্মকর্তাদের প্রত্যেকে সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন।
ভোক্তার পাতের চাল নিয়ে কারসাজির জন্য সবপক্ষই দায়ী বলে সাফ জানান খাদ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
এদিকে এনবিআর অনুমোদন দিলেই চিনি ও ভোজ্য তেলে শুল্ক কমানোর ঘোষণা কার্যকর হবে বলে জানিয়ে, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বললেন, রমজানের আগেই পণ্য দেশে আসবে।
রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে ৪টি নিত্যপণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সরকার । তবে এখনও সে সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েনি।