শীত মৌসুমের বেশিরভাগ রবিশস্যে এখন বাজার সয়লাব। পর্যাপ্ত সরবরাহে শহর-নগরেও ক্রেতাদের নাগালে বিভিন্ন ধরনের সবজি। ১০০ থেকে দেড়শ' টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
মৌসুমী সবজিগুলো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। যাতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সাধারণ মানুষ।
একজন ক্রেতা বলেন, 'আলুটা একটু সস্তা পেলাম দেখে নিচ্ছি। এখন ৩০ টাকা বলছে। কিছুদিন আগেও ৮০ টাকা কেজি কিনেছি। গত বছরের চেয়ে কাঁচাবাজারের দাম অনেক কম। বলতে গেলে অর্ধেক।'
তবে এ সপ্তাহে চালের বাজারে দর না বাড়লেও কিছুটা অস্বস্তি ক্রেতাদের। দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন এবং ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানির পরও অপবর্তিত চালের দাম।
খুচরায় প্রতিকেজি সরু বা মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮২ টাকায় আর নাজিরশাইল ৭৮ থেকে ৮৫ টাকায়। চিনিগুড়া চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়।
ভরা মৌসুমেও চালের দাম অপরিবর্তিত থাকায় বিক্রেতারা দুষছেন মিল মালিকদের।
একজন বিক্রেতা বলেন, 'যারা মেইন মালিক, বড় বড় কোম্পানির কারণে আজকে বাজারে এই অবস্থা। চালের দাম কমাতে হলে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।'
এদিকে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বোতলজাত তেল পাচ্ছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা। যে কারণে খোলা তেলে ঝুঁকছেন ক্রেতারা, আর এ কারণেই খোলা তেলও বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত দামে।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে বোতলজাত ও খোলা দুটোতেই কৃত্রিম সংকট রয়েছে। তারওপর যা মিলছে, পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি কার্টন সয়াবিন তেলের সাথে শর্ত জুড়ে দিচ্ছে অন্যান্য পণ্য নেয়ারও।
একজন ক্রেতা বলেন, 'পাঁচ লিটারের বোতল সেল হয় ৮৫০ টাকা। বলছে ওর সাথে এক কেচি চিনি, আর এক কেজি চাল নিতে হবে।'
অন্যদিকে, মুদি বাজারে দামের তেমন হেরফের নেই। আমদানির মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ ও দেশি চিকন মসুর ডাল ১৩০ টাকা, মুগডাল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছোলার প্রতিকেজি দর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।