এশিয়া দেশগুলোর বিশাল শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ বেশ কয়েকটি দেশের রেমিট্যান্সের বড় খাত। ভিনদেশে কাজ করতে এসে অনেকেই হয়েছেন ছোট-বড় ব্যবসায়ী।
রাজধানী রিয়াদের জামাল কমার্শিয়াল মার্কেটের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ফার্স্ট ফ্লোরে ২০০টি দোকান আছে। এরমধ্যে ১০০টির বেশি ফ্যাশন হাউজের দোকান বাংলাদেশিদের। এসব দোকানে ব্লেজার, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, সুয়েটারের বেচাকেনা ছিল অনেক বেশি। তবে এখন ক্রেতাসমাগম না থাকায় দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'ফার্স্ট ফ্লোরে আমাদের রেডিমেড কাপড়ের দোকান। আমরা একশ'র উপরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আছি। ব্যবসা আগে অনেক ভালো ছিল তবে এখন অনেক খারাপ যাচ্ছে। ব্যবসা মন্দা থাকলেও আমরা আশা করি পুরনো দিন ফিরে আসবে।'
সৌদি আরবের অন্যান্য শহর জেদ্দা, ইয়াম্বু, তাবুক, আরার, দাম্মাম, আল কাসিম বুরাইদা, ওনাইজা শহরেও কাপড়ের ব্যবসায় মন্দা চলছে। দোকান ভাড়া ও স্টাফদের বেতন দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আগে একেকটি দোকানে মাসে আয় হতো এক থেকে দুই লাখ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার পর থেকেই মূলত এ অবস্থা। করোনার ধকল কাটিয়ে উঠলেও, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরেনি। সম্মিলিতভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন পোশাক ব্যবসায় জড়িত সবাই।