নেপালের কাঠমান্ডু বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন

মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন
মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন | ছবি: সংগৃহীত
1

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নেপালের কাঠমান্ডু বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হয়। আজ (মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর) কাঠমান্ডু বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস পালন করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য ও আনন্দঘন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সার্ক সচিবালয়ের মহাসচিব মো. গোলাম সারোয়ার, সার্ক সচিবালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাবৃন্দ; নেপালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ; বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নেপাল অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ; নেপালে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ; নেপালের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীগণ। এছাড়াও বর্তমানে কাঠমাণ্ডু সফররত বাংলাদেশের একটি নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সকাল ১০টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহিদগণ এবং জুলাই–আগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

তাদের আত্মার মাগফিরাত ও চিরশান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

বিজয় দিবসের এই উদযাপনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে কাঠমাণ্ডুর স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলা ও নেপালি সুরের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন।

আরও পড়ুন:

বাংলা ও নেপালি গান পরিবেশন করেন। এছাড়াও নেপালের সুরসুধা মিউজিক গ্রুপের কণ্ঠশিল্পী সরস্বতী খাত্রী তার কণ্ঠে কয়েকটি বাংলা ও নেপালি গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠানে বিশেষ মাত্রা যোগ করেন।

আলোচনা পর্বে সার্ক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ার মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহিদদের এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাগণ, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়ে, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান জানান। একই সঙ্গে তিনি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

১৯৭১ সালে নিপীড়ন, অবিচার, বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ সংগ্রাম ও লড়াইয়ের কথা স্মরণ করে তিনি জানান, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এক নতুন মাত্রা ও দিকনির্দেশনা যোগ করেছে।

উপস্থিত অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সেজু