পর্যাপ্ত মাছের দেখা না পাওয়ায় মাত্র এক মাসেই কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি মৎস্য ব্যবসায়ী, জেলে ও ট্রলার মালিকদের। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণসহ প্রণোদনা দেয়া হলে এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
ঋণ নিয়ে তিন কোটি টাকা খরচ করে ৬টি ট্রলার কিনেছিলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ট্রলার মালিক ইউসুফ হাওলাদার। ভরসার জায়গা ছিলো মাছ শিকার। আশা ছিলো সম্ভব হবে দেনা পরিশোধ এবং কর্মীদেরও পরিচালনা করা।
সব প্রস্তুতি থাকলেও গত দুই বছর সাগর উত্তাল ও মাছের আকাল এবং বিভিন্ন সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এতে সমস্যায় পড়েছেন তার মত আরও অনেকে। এছাড়া হরতাল অবরোধ থাকায় মাছের বিক্রিও অনেক কমে গেছে।
ইউসুফ জানান, জায়গা-জমি বিক্রি করে, ঋণ নিয়ে এই ব্যবসায় নামছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা না পেলে অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়বো।
ইউসুফের মত অবস্থা আরো অনেক মাছ এবং ট্রলার ব্যবসায়ীর।ঘন ঘন দুর্যোগ আর সমুদ্রে মাছ কম পাওয়ায় পেশা পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন অনেকে।
আলীপুর ও মহিপুরের দেড় শতাধিক আড়তদার ও ব্যবসায়ী অগ্রিম দাদন হিসেবে বিনিয়োগ করেছেন অন্তত দুইশ কোটি টাকা। সাগরে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বঙ্গোপসাগর ঘন ঘন উত্তাল হওয়ায় মাছ শিকার বন্ধ করে জেলেদের চলে আসতে হয় তীরে। তাই ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ আহরণ কমেছে বলে দাবি জেলার আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
২০২১- ২০২২ অর্থবছরে আলীপুর ও মহিপুরে ৫শ' মেট্রিক টন ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ আহরণ হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে চলতি বছরে তা নেমেছে অর্ধেকেরও নিচে।