বাজার
দেশে এখন
0

সরবরাহ বাড়ায় স্বস্তি ফিরছে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে

সামুদ্রিক মাছে ভরপুর দেশের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি মাছ বাজার চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট। সরবরাহ বাড়ায় বাজারে মাছের দামে এসেছে স্বস্তি। তবে ইলিশের জোগান কম থাকায় বছর শেষেও হতাশ ক্রেতা-বিক্রেতারা।

শীত শীত ভোরে সাগরের মাছ উত্তাপ ছড়াচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর ফিশারিঘাটে। জমজমাট মাছ বাজারে মূল আকর্ষণ এইসব বিশাল বিশাল আকারের মাছ।

মঙ্গলবার রাতে গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পড়ে বিশাল আকারের কোরাল, পাঙাস ও লাক্ষা। ট্রাক থেকে নামাতেই যা ঘিরে উৎসুক মানুষের ঢল। মূলত একেকটি ৩৫ থেকে ৪০ কেজি ওজনের কোরাল নজর কাড়ে সকলের।

আড়তে উঠার ২০ মিনিটেই মণপ্রতি ১০ লাখে দুটি কোরাল কিনে নেন স্থানীয় দুই মাছ ব্যবসায়ী। তারা জানান, এই মাছ কেজিপ্রতি হাজার টাকা হলেও পটকার বা বায়ুথলীর দাম উঠে লাখ লাখ টাকা। যেই মাছের পটকা যত বড় সেই মাছ থেকে আয়ও তত বেশি।

মূলত শীতের সময়ই এমন বিশালাকৃতির মাছ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। বছরে ৫/৬ বার বাজারে এমন মাছের দেখা পান ব্যবসায়ীরা।

বড় মাছ ছাড়াও শুক্রবারের বাজারে সামুদ্রিক মাছের জোগান ছিল পর্যাপ্ত। দামও ক্রেতার নাগালে। মূলত কোরাল, লাক্ষা, রূপচাঁদা, সুরমা, পোয়া, চিংড়ি, কামিলা মাছের জোগান ছিল বেশি।

পুরো বাজারে সামুদ্রিক মাছের জোয়ার থাকলেও ইলিশ যেন অধরা। গভীর সমুদ্রে চলে যাওয়ায় এই সময় বোট ফিরেছে ইলিশ ছাড়ায়। দামও তাই নাগালের বাইরে।

দেশের অন্যতম বড় পাইকারি এই মাছ বাজারে সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি ভরপুর ছিল মিঠা পানির মাছেও।

এএম