ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিজিটাল প্রচার ও আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় পোস্টার ও লিফলেটের চাহিদা কমেছে।
জেলার সবচেয়ে বড় ছাপাখানা মৌসুমি অফসেট প্রেসে নির্বাচনের ব্যস্ততা নেই। অতীতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যে কর্মচাঞ্চল্য ছিল তাও চোখে পড়ে না। এদিকে অনেক মুদ্রণ শ্রমিক অলস সময় পার করছেন।
জেলার অন্য ছাপাখানাগুলোতেও একই অবস্থা। প্রতীক বরাদ্দের পর পোস্টার-লিফলেট ছাপার জন্য পর্যাপ্ত অর্ডার নেই।
প্রেসের শ্রমিকরা বলেন, ‘আগে নির্বাচন উপলক্ষে কাজের বেশ চাপ ছিলো। সে তুলনায় এবার তেমন কোন কাজ নেই।’
মুদ্রণ সংশ্লিষ্টদের দাবি, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য প্রার্থীদের পোস্টার ও লিফলেট ছাপানোর প্রতি কোন আগ্রহ নেই। আর অনেকে ডিজিটাল প্রচার-প্রচারণা করছেন।
এবার প্রতি পিস পোস্টার ৪ টাকা আর লিফলেট ৬০ পয়সায় ছাপানো হচ্ছে। এছাড়া প্রতি বর্গফুট ব্যানারে প্রিন্টিং খরচ পড়ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। নির্বাচন উপলক্ষে এবার অন্তত ২ কোটি টাকার কাজ পাওয়ার আশা ছিল প্রেস মালিকদের। কিন্তু সবমিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার অর্ডার পাওয়া যেতে পারে বলে জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান ইমরান বলেন, ‘প্রার্থী বেশি হলে ও প্রচার-প্রচারণার প্রতি আগ্রহ থাকলে আমরা এবার প্রত্যাশিত আয় করতে পারতাম।’
জেলায় ছাপাখানা রয়েছে প্রায় ৩০টি। এরমধ্যে মাত্র ১০টিতে পোস্টার ও লিফলেট ছাপাসহ নির্বাচনী কাজ হচ্ছে।