চলমান-হরতাল অবরোধে ফেনীর বড় বাজারের মুদ্রণ ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়লেও নতুন বছর আর নির্বাচনকে ঘিরে ছাপাখানাগুলোতে বাড়ছে ব্যস্ততা। নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, 'রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এখন ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। নির্বাচন সামনে। তাই সুদিন ফিরবে বলে আশা করি। ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট এগুলোর চাহিদাও বাড়বে।'
মুদ্রণ শিল্পের ঐতিহ্যের জনপদ ফেনীতে রয়েছে ৪২টি ছাপাখানা, জড়িত আরও ৩ শতাধিক প্রতিষ্ঠান, ৪ শতাধিক গ্রাফিক্স ডিজাইনারসহ হাজারখানেক শ্রমিক। সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নতুন বছরে কাজ নিয়ে আশাবাদী শ্রমিকরা।
জেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ছাড়াও আশপাশের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, নাঙ্গলকোট, খাগড়াছড়ি, রামগড়; নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, বসুরহাট; ও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলাসহ প্রায় ১০০টি ইউনিয়নের ছাপার কাজ করেন ফেনীর মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা। বাজার প্রসার হচ্ছে আরও। এ মৌসুমকে ঘিরে কয়েক কোটি টাকা লেনদেনের আশা ব্যবসায়ীদের।
জেলা মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি রাজিব নাথ বলেন, 'নতুন বছর আর নির্বাচন একই সাথে হওয়ায় ভালো একটা মৌসুম যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি হরতাল-অবরোধ না থাকতো তাহলে আরও ভালো হতো। দুই থেকে তিন কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।'
১৯২২ সালে এ জেলায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অনেকটা শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে এ শিল্প।