হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি সময় নিয়ে ধোঁয়াশা

International Desk
0

গাজায় যুদ্ধবিরতির সময়সীমা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কথা থাকলেও শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এর আগে তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে তেল আবিব।

এ নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে হামাসের হাতে বন্দী ইসরাইলি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এদিকে হামাস-ইসরাইলের এ যুদ্ধবিরতিকে ভুয়া বলছেন খোদ ফিলিস্তিনিরা। আর সংঘাত বন্ধে দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘের।

বৃহস্পতিবারের সূর্যোদয়ের পরেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কথা ছিলো গাজা ভূখণ্ডে। তবে সেই আশায় গুড়েবালি। ওইদিন ভোরে উপত্যকাটিতে রকেট হামলা করতে দেখা যায় ইসরাইলি সেনাদের। আর এর পর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিনক্ষণ নিয়ে শুরু হয় ধোঁয়াশা।

বুধবার (২২ নভেম্বর) যৌথ সম্মতিতে গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরততে রাজি হয় হামাস ও ইসরাইল। দু'পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইসরাইলের ৫০ বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ফিলিস্তিনের ১৫০ জিম্মিকে ছেড়ে দেবে তারা। আর গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য জ্বালানিসহ পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেবে তেল আবিব।

বুধবার সন্ধ্যায় ঘোষণা আসে পর দিন থেকেই কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি। মিশরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কথা। তবে ইসরাইলের মুখে শোনা গেল ভিন্ন সুর।

শুক্রবারের আগে কোনভাবেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে তেল আবিব। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, স্বল্পদৈর্ঘ্যের এ যুদ্ধবিরতিতে শুক্রবারের আগে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়া সম্ভব নয়।

আরও ২৪ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি পেছানোর ঘোষণায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে হামাসের হাতে ইসরাইলি বন্দির স্বজনদের মধ্যে। সব বন্দিদের মুক্তি না করা পর্যন্ত সংঘাত পুরোপুরি থামবে না বলেও মত তাদের।

যুদ্ধবিরতি পেছানোয় হতাশ ফিলিস্তিনিরাও। আদৌ এ চুক্তি কার্যকর হবে কি-না তা নিয়ে সংশয়ে তারা। এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী মুখপাত্র ডানিয়েল হাগারি বলেন, 'কখন যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এখনও আমাদের কাছে তথ্য আসেনি। আর যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত যা করতে হয় আমরা তাই করবো। এখনও পর্যন্ত আমাদের মূল টার্গেট যুদ্ধ হামাসের টানেল ধ্বংস করা।'

গাজায় সংঘাত বন্ধে দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির কোন বিকল্প নেই বলছে মত জাতিসংঘের। বুধবার সংস্থাটির নিরাপত্তা কাউন্সিল অধিবেশনে এ আহ্বান জানানো হয়।