যুদ্ধ
বিদেশে এখন
'আল-শিফা হাসপাতালে সুড়ঙ্গের তথ্য বানোয়াট'
Md Shahnur Rahman Sakib
প্রকাশ:২০ নভেম্বর ২০২৩, ৬ : ৩২ পূর্বাহ্ন
গাজার আল-শিফা হাসপাতালে জিম্মিদের বন্দি রাখার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। আরেক ভিডিওতে হাসপাতালটির নিচে ৫৫ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পাওয়ারও দাবি করা হচ্ছে।

সুড়ঙ্গে জিম্মিদের বন্দি রাখার দাবি ইসরাইলের বাহিনী। আরেক ভিডিওতে হাসপাতালটির নিচে ৫৫ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পাওয়ারও দাবি আইডিএফের। তবে ইসরাইলের এসব দাবিকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হামাসের গোপন আস্তানা থাকার দাবি করে বেশ কয়েকদিন ধরেই গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় হামলা ও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এমনকি একের পর এক ভিডিও প্রকাশ করে দাবির সত্যতা প্রামাণের চেষ্টা করে যাচ্ছে দখলদাররা।

এবার ৭ অক্টোবর ধারণ করা একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করছে ইসরাইল। যেখানে দেখানো হয় ওইদিন হামাস যাদের জিম্মি করেছিলো, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আনা হয় এই হাসাপাতালে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডের একজন এবং নেপালের একজন নাগরিকের মরদেহ উদ্ধারেরও দাবি করা হচ্ছে। অবশ্য এর আগে গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি, জিম্মিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার কথা জানিয়েছিল।

ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, 'আমরা আল-শিফা হাসপাতাল থেকে আরও গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি। যা প্রমাণ করে হাসপাতালটিতে হামাসের হাতে আমাদের সেনা নোয়া মার্সিয়ানোই একমাত্র জিম্মি ছিলেন না। এখানে আরও অনেককে আটক করে রাখা হয়েছিলো। যাদের ৭ অক্টোবর ইসরাইল থেকে ধরে আনা হয়েছিলো।'

যুদ্ধের সপ্তম সপ্তাহে হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই হাসপাতালটির নিচে হামাসের গোপন টানেল নেটওয়ার্ক পাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। যেটি ১০ মিটার গভীর। এবং দীর্ঘ সুড়ঙ্গের ৫৫ মিটার পর্যন্ত যেতে পেরেছে আইডিএফ।

ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, 'জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার অভিযানে যতক্ষণ না আমরা সফল হবো ততক্ষণ বিশ্রাম নেব না। আল-শিফা হাসপাতালে জিম্মিদের লুকিয়ে রেখে হত্যা করছে হামাস। এমনকি সুড়ঙ্গ তৈরি করে রেখেছে। এখন পর্যন্ত এই সত্য পরিষ্কার, হামাস হাসপাতালকেই যুদ্ধ পরিচালনার ঘাঁটি বানিয়েছে।'

ইসরাইলের সঙ্গে সুর মেলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রও। হাসপাতালটি হামাসের কমান্ডারের ঘাটি ও অস্ত্র ভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহার হতো বলে গোয়েন্দা তথ্য থাকার দাবি করছে দেশটি।

এখন পর্যন্ত যেসব ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে তার কোনোটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব পুরোপুরি মিথ্যা ও সাঁজানো নাটক। এমনকি হাসপাতাল ও বেসামরিক অবকাঠামোতে থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করার বিষয়টি বারবার অস্বীকার করে আসছে হামাস।

 

এমএসআরএস
এখন টেলিভিশন স্পাইস টেলিভিশন লিমিটেড সিটি পার্ক লেন, ১৯ হাটখোলা রোড, ওয়ারী, ঢাকা-১২০৩, বাংলাদেশ
ফোনঃ +৮৮০১৩২৪৭২০০০১
ই-মেইল: [email protected]