বিদেশে এখন
0

ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রের মজুত খালি ইইউ'র

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

রাশিয়ার সঙ্গে ২১ মাস ধরে বিরামহীনভাবে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বিশাল সেনাবহর ও উন্নত অস্ত্রের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে হাজারো কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে পশ্চিমারা। এতে করে খালি হয়ে গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্ত্র ভাণ্ডার।

সম্প্রতি সংস্থাটির পররাষ্ট্র কাউন্সিলের বৈঠকের আগে এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল জানান, ইতোমধ্যেই ইউক্রেনকে ৩ লাখ শেল সরবরাহ করেছে ইইউ। এখন কিয়েভকে সরবরাহ করার মতো পর্যাপ্ত শেল মজুত নেই তাদের কাছে।

যদিও ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, ইউক্রেনকে প্রতিশ্রুত শেলের মাত্র ৩০ শতাংশ সরবরাহ করেছে ইইউ। এ পর্যন্ত ইউক্রেনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থ খরচ করেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি ডলার।

নিজেদের তৈরি করা অস্ত্রের ৪০ শতাংশ ইউরোপের বাইরে সরবরাহ করে ইইউ। তাই প্রতিশ্রুতি পূরণে উৎপাদিত অস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহের আহ্বান জানান বোরেল।

ইইউ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, 'আমাদের অস্ত্র উৎপাদনে সক্ষমতার অভাব নেই। তবে আমরা অস্ত্রগুলো বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছি। তাই প্রতিশ্রুতি পূরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা জরুরি।'

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদন বলছে ৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি শেল তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হলেও এক বছর আগেই সমপরিমাণ শেল উৎপাদন করবে রাশিয়া। প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে আরো ৫ বছর।