আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
0

বিশ্বজুড়ে আবারো বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম

পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় জ্বালানি খাতের বাজার আরো অস্থিতিশীল হবে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। যদিও বিশ্ববাজারের বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টার আশ্বাস মস্কোর। তবে এরই মধ্যে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। বিকল্প উৎসের সন্ধানে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি।

রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞায় অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ববাজার। জি-সেভেন বৈঠকের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল জ্বালানি খাত থেকে রাশিয়ার আয় কমানো। এরই ধারাবাহিকতায় এমন পদক্ষেপ নেয় মার্কিন প্রশাসন। একই সময়ে দু'টি রুশ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। তাদের দাবি, তেলের অর্থ দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাচ্ছে রাশিয়া। সেটি প্রতিহতেই এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

মার্কিন অর্থবিভাগ জানিয়েছে, সবমিলিয়ে রাশিয়ার ৪০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ১৮৩টি জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ, রুশ ব্যবসায়ী ও তেলক্ষেত্রের পরিষেবাদাতা। এছাড়া রাশিয়ার দু'টি বৃহৎ জ্বালানি তেল কোম্পানি এবং এদের অধীন দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান। নিষেধাজ্ঞার এ খবরে বিশ্ববাজারে এরইমধ্যে বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম।

তবে রাশিয়ার অভিযোগ, এসব নিষেধাজ্ঞা জ্বালানি খাতকে আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। তবে জ্বালানির দাম নাগালে রাখতে তারা সব ধরনের চেষ্টা করে যাবে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, 'এটা স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র অপ্রতিযোগিতামূলক উপায়ে রাশিয়ার কোম্পানিগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তবে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করছি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের খারাপ ঐতিহ্য রেখে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।'

এদিকে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়বে চীন-ভারতও। কারণ রাশিয়া থেকে কম খরচে তারা প্রচুর পরিমাণে তেল কিনছে। এবার তাদের বিকল্প বাজার হিসেবে ঝুঁকতে হবে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দিকে। যার ফলে বাড়বে পরিবহণ খরচ এবং পণ্যের দাম।

নিষেধাজ্ঞার কারণে তেলের দাম বাড়ায় বিকল্প উৎস খুঁজছে ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি। এরই মধ্যে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো।

তিনি বলেন, 'নিষেধাজ্ঞায় মধ্য ইউরোপ আবারও গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সার্বিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তেল সরবরাহকারী একটি কোম্পানিও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে। যা ইউরোপের জ্বালানি খাতকে কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।'

হোয়াইট হাউজের ক্ষমতা ছাড়ার আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার মতে এর মাধ্যমে পুতিন কঠিন অবস্থায় পড়বেন। যদিও এসব নিষেধাজ্ঞাকে ভিত্তিহীন ও অবৈধ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া।

এসএস