গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

ঘেরের আইলে সবজিসহ সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে লাভবান কৃষক

বছরে একবার ধান চাষের পর একই জমিতে মাছ চাষ, সেই ঘেরের পাড়ে উৎপাদন হচ্ছে সবজি। সাতক্ষীরায় ক্রমেই বাড়ছে সমন্বিত এই চাষ পদ্ধতি। যেখান থেকে চলতি বছর ৫৩৫ কোটি টাকার সবজি উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।

দুই দশক আগেও সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ বিল এলাকায় চাষ হতো সোনালি ধান। তবে নদী-খাল ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতার কারণে গেল দশক থেকে এসব বিলে বাঁধ দিয়ে শীত মৌসুমে ধান ও বর্ষা মৌসুমে করা হচ্ছে মাছ চাষ। একই সাথে এসব ঘেরের আইলে সবজি চাষ করে কৃষি অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে জেলার চাষিরা।

ভোমরা ইউনিয়নের নবাতকাটি গ্রামের মাছ চাষি ফজর আলি, দীর্ঘ ৩০ বছর অন্যের জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। একই সাথে শুকনো মৌসুমে ধান ও ঘেরের আইলে সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। তার মত জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা মাছের পাশাপাশি ঘেরের আইলে সবজি চাষ করে আয় করছেন বাড়তি অর্থ ।

চাষীরা জানান, মৌসুমে তরকারি ১লাখ টাকা মতো বিক্রি করেছি সামনে আরো ২ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারব।

ঘের পাড়ে উৎপাদিত এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। যাতে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজারো মানুষের।

ঘেরের ভেড়িতে সবজি লাগায় বরবটি, কুমড়া, খিরা হচ্ছে বলেও জানান এক চাষী।

কৃষি বিভাগ বলছে, গত কয়েক বছরে মাছের ঘেরের আইলে সবজি চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে ৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে সবজির চাষ হয়েছে।

সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আমরা যদি ঘেরের পাড় গুলো সবজির আওতায় আনতে পাড়লে কৃষকরা লাভবান হবে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।'

চলতি মৌসুমে জেলায় ঘেরের পাড়ে ৯৪০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। যা গত মৌসুমে ছিল ৮৭৫ হেক্টর। যেখান থেকে মোট ১৭ হাজার ৮৬০ টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য অন্তত ৫৩৫ কোটি টাকা।

tech