গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

নরসিংদীতে ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ

চলতি বছর নরসিংদীতে প্রায় সাড়ে ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে উৎপাদন হতে পারে প্রায় ১২শ' কোটি টাকার ধান। আর এই বোরো আবাদ ঘিরে কাজের সুযোগ হয়েছে অন্তত ৪ লাখ মানুষের। যাদের দৈনিক আয় ৮শ' থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহে একটু জিরিয়ে নেয়ার সুযোগে উৎসবমুখর তারা। বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে জেলাজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।

তিন মাস আগে কৃষকরা যে স্বপ্ন বুনে ছিলেন, তা এখন সত্যি হয়ে দোল খাচ্ছে নরসিংদীর মাঠে মাঠে। সোনালী ফসল ঘরে তুলতে জেলাজুড়ে ব্যস্ততা।

কৃষক শ্রমিকদের একজন বলেন, 'সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করে আর শরীর কুলাতে পারছি না। তীব্র গরম আর রোদে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।'

আরেকজন বলেন, '৮ থেকে ৯ বছর নরসিংদী এসে ধান কাটি। এতে করে ধান মৌসুমে বাড়তি আয় হয়।'

অনুকূল আবহাওয়ায় এবছর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক। কৃষকদের একজন বলেন, 'অনেক ভালো ফলন হয়েছে। ধানে কোনো চিটা নেই। ধানের কালারও ভালো পেয়েছি। আশা করছি ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবো।'

এদিকে সোনালি ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত গেরস্থের ঘরনিরাও। ভোর থেকে রাত দম ফেলবার ফুসরত না থাকলেও নতুন ধানের ঘ্রাণে সুখ খুঁজে নেন তারা।

চলতি বছর নরসিংদী জেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে হয়েছে বাড়তি উৎপাদন। এছাড়া গত ৫ বছরে জেলায় বোরো আবাদ বেড়েছে ২.২২ শতাংশ।

নরসিংদীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, 'জেলায় দিন দিন বোরো আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরা ধানের ভালো মূল্য পাওয়ার জন্য আবাদ বাড়িয়ে দিয়েছে।'

এবছর জেলায় ৫৬ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২ হেক্টর বেশি। যেখান থেকে উৎপাদন হওয়া ৩ লাখ ৩২ হাজার ২১৪ টন ধানের বাজার মূল্য অন্তত ১২শ' কোটি টাকা।

ইএ