টাঙ্গাইলের সখীপুরে কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিব খান। ২০১৮ সালে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তবে বেতন ভালো না পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে সমন্বিত কৃষি খামার গড়ার উদ্যোগ নেন।
শুরুতে নিজ বাড়ির পাশে দেড় একর জমিতে ফিলিপাইন জাতের আখ চাষ করেন হাবিব। পর্যায়ক্রমে রঙিন সাগর কলা, উন্নত জাতের পেঁপে, উচ্চ ফলনশীল সজনে চাষ করেন। এছাড়া মাছ চাষেও সফল হয়েছেন হাবিব। সব মিলিয়ে সমন্বিত খামার থেকে বছরে ৩৫ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন তার।
হাবিব খান বলেন, 'করোনার সময় আমি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে কৃষিতে সম্পৃক্ত হই। প্রথম বছর পেঁপে চাষ করে ভালো লাভ পাই। যা আমার চাকুরির বেতনের থেকেও বেশি।'
হাবিবের বাগানের কলা যাচ্ছে স্থানীয় বাজারে। ছবি: এখন টিভি
একসময় অন্যের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা হাবিবের কৃষি খামারে এখন কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। তার সফলতা দেখে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও তরুণরা।
এক বেকার যুবক বলেন, 'হাবিব ভাইয়ের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আগামী বছর ৫০ শতাংশ জায়গায় ৫ হাজার আখ চাষ করব। চারার জন্য উনার কাছে অর্ডার দিয়েছি।'
হাবিবের খামারে উৎপাদিত আখ, কলা, পেঁপে ও মাছ, পাইকারদের মাধ্যমে স্থানীয় বাজার ছাড়াও যাচ্ছে ঢাকায়।
তরুণ ও বেকারদের সমন্বিত খামার করতে উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি কৃষি উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালেহ আকরাম। বলেন, 'যারা বাণিজ্যিকভাবে কৃষি কাজ করতে চায় আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করি।'
তরুণ ও বেকাররা কৃষিকাজে আগ্রহী হলে প্রান্তিক পর্যায়ে অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে আশা এ কৃষি কর্মকর্তার।