সবুজ পাতার আড়ালে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা-পাকা লালচে সবুজ কফি। সুপারির পাশাপাশি এভাবেই ৪ বছর ধরে কফি চাষ করছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা।
কৃষকরা জানান, চারা রোপণের দুই বছরের মধ্যেই গাছে আসতে শুরু করে ফুল। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের বিষয়ে কোনো ধারণা না থাকায় সফলতা নিয়ে শঙ্কায় তারা।
চাষিদের মধ্যে একজন বলেন, 'তিন চার বছরের বেশি হচ্ছে লাগিয়েছি। ফলন দুই বছরের মধ্যে হয়ে গেছে। এখন ফল কোথায় বিক্রি হয় না হয় এই জিনিসটা আমরা পাচ্ছি না।'
স্থানীয়রা বলছেন, সুপারি ও কফি একই জমিতে চাষ করায় খরচ কম লাগছে। বাগান দেখতে এসে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকে। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে সঠিক ধারণা না পেলে লাভ-ক্ষতির হিসাব কষা সম্ভব হতো বলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, 'যদি সামনেরবার ভালো ফলন পাওয়া যায় আর সেরকম পরামর্শ পেলে লাভবান হওয়া যাবে।'
কৃষি বিভাগ জানায়, ২০২১ সালের শেষের দিকে 'কফি ও কাজু বাদাম গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের' আওতায় জেলার তিন উপজেলায় রোবাস্টা জাতের কফি চাষ শুরু হয়। সেসময় ৪৭ জন কৃষকে ১৩৫ টি করে চারা ও উপকরণ সরবরাহ করা হয়। নতুন এই ফসল ঘিরে সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আশা করছি কফি থেকে তারা উচ্চমূল্য পাবে। প্রকল্প থেকে তাদের একটি গ্রুপে তাদের মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। যেটা প্রোডাকশনে আসলে সেখান থেকে কফি বিন বাজারজাত করা সহজ হবে।'
কফি চাষে সফলতা পেলে আমদানি নির্ভরতা কমার পাশাপাশি উত্তরের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।