জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা রোমান মিয়া। ২০১২ সালে প্রতিকূল আবহাওয়া সহনশীল পলিনেট পদ্ধতিতে ভার্মি কম্পোস্ট কোকোপিট ব্যবহার করে চারা উৎপাদন শুরু করেন। চলতি বছর রোমান মরিচ, টমেটো, বেগুন, রঙিন ফুলকপি, জি নাইন কলাসহ ১৫ প্রজাতির আগাম শীত কালীন সবজির চারা উৎপাদন করেছেন তার নার্সারিতে।
নার্সারিতে শুরু থেকে ছেলেকে কাজে সহযোগিতা করেন বাবা-মা। এ নার্সারিতে উৎপাদিত চারা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় বগুড়া, কুষ্টিয়া, ভৈরব, সিলেট ও সুনামগঞ্জে। বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে রোমান বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা আয় করছেন।
তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. রোমান মিয়া বলেন, ‘সুস্থ সবল চারাগুলো কিভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ২০১২ সাল থেকে পলিনেট পদ্ধতিতে চারাগুলো উৎপাদন করছি। আগে কৃষকরা সনাতন পদ্ধতিতে যে চারাগুলো উৎপাদন করতো সেগুলো মাঠে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকসময় মারা যেতো।’
আরও পড়ুন:
যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে প্রতিনিয়ত আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম করে চাষাবাদ করেন কৃষকরা। বৈরী পরিবেশে বেশ কয়েক বছর ধরে আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদন করতে গিয়ে আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বর্তমানে পলিনেট পদ্ধতিতে ভার্মি কম্পোস্ট কোকোপিট ব্যবহার করে চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। কৃষকদের সহায়তায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
মাহমুদপুর ব্লক মেলান্দহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, ‘সবাই যেন কোকোপিট চারা ব্যবহার করেন। এ পদ্ধতিতে গাছে পচনরোগ হবে না। ঢলে পড়া রোগ হবে না। পাশাপাশি ফলন বেশি পাওয়া যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেলান্দহ জামালপুর কৃষিবিদ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘ এ ধরণের চারাগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে থাকে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় এ চারাগুলো টিকে থাকতে পারে।’
চলতি বছরে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ১ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আগাম শীত কালীন সবজি রোপণ করা হয়েছে।





