১৯৫৬ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গিং কনটেস্ট ইউরোভিশনের আয়োজন করে আসছে ইউরোপীয় সম্প্রচার ইউনিয়ন-ইইউবি। যেখানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাইরের দেশগুলোর প্রতিযোগীরা নিজেদের দেশের মৌলিক গান এবং অভিনয় পরিবেশন করে থাকে।
২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউরোভিশনের ৭০তম আসর বসবে অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে। এবারের আসরে ইসরাইলকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়ায়, প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় স্পেনের জাতীয় সম্প্রচারক সংস্থা আরটিভিই।
এর আগে ইসরাইলের অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে ভোটগ্রহণের প্রস্তাবও দেয় সংস্থাটি। যদিও জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভোটাভুটির প্রস্তাব বাতিলে করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক সংস্থা। পাশাপাশি ইউরোভিশন প্রতিযোগিতায় কোনো দেশের সরকারের প্রভাব থাকবে না বলে নতুন আইন প্রণয়নের কথাও জানায়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের এমন সিদ্ধান্তের পর, প্রতিযোগিতা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে স্পেনবাসী।
ইউরোভশিন সং কনটেস্টের পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, এটা কোনওভাবেই সংকট নয়। ৩৫ টি দেশ আগামী বছর আমাদের সাথে যোগ দেবেন। চার বা পাঁচজন হয়তো আসবেন না। এটা তাদের পছন্দ। আমি এটাকে সম্পূর্ণ সম্মান করি। আমি আশাবাদী তারা ২০২৭ সালে আমাদের সাথে ফিরে আসবেন। আবারও বলতে চাই, এটা তাদের পছন্দ।
আরও পড়ুন:
স্পেনের সঙ্গে একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া। ইউরোভিশনের আয়োজক কমিটির সিদ্ধান্তে মূল্যবোধের পক্ষের সবাই পরাজিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নেদারল্যান্ডসের ব্রডকাস্টার অ্যাভ্রোট্রাসের মহাপরিচালক।
ডাচ ব্রডকাস্টার অ্যাভ্রোট্রোসের মহাপরিচালক টাকো জিমারম্যান বলেন, আমরা ইউরোপের সঙ্গে শান্তি উদযাপন করতে চাই। একটি সুন্দর উৎসব উপভোগ করতে চাই। দুর্ভাগ্যবশত সেটি হবে না। আমরাসহ আরও বেশকিছু দেশ মূল্যবোধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। এর বাইরে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
এদিকে, ইউরোভিশনে ইসরাইলের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে এবারের আসরের আয়োজক দেশ অস্ট্রিয়া এবং আরেক ইউরোপীয় রাষ্ট্র জার্মানি। রাজনীতি আর বিনোদন একসাথে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয় বলে মনে করেন অস্ট্রিয়ানরা।
অস্ট্রিয়ান নাগরিকরা বলেন, আমি সরকার এবং জনসংখ্যার মধ্যে পার্থক্য করি। যদি দেশগুলো সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা করার কারণে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এটি তাদের সিদ্ধান্ত।
ইউরোভিশন একটি সাংস্কৃতিক ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। সংস্কৃতি ও সঙ্গীতের মাধ্যমে সকল জাতীয়তা, সকল জাতি, সকল মানুষকে একত্রিত করা উচিত।
ইউরোভিশন আয়োজকদের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইসরাইলপন্থিরা। আর সমালোচকরা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ইসরাইলিদের।





