বর্তমান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু'পাশে ব্রিজ কালভার্টসহ নানান উন্নয়নমূলক কাজ চলমান। মূলত প্রাথমিক এই কাজের মধ্যে দিয়েই সূচনা হয় সিলেটবাসীর স্বপ্নের ৬ লেন প্রকল্পের।
এই সড়কটিই রাজধানী ঢাকা ও প্রধান বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রামের সাথে সিলেটের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু প্রকল্পের কাজ দেড় বছর আগে শুরু হলেও আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় যাতায়াত ভোগান্তিতে সিলেটে অঞ্চলের কোটি মানুষ।
প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও অগ্রগতি সামান্য। বিশেষ করে সিলেট অংশে কাজ শেষ মাত্র ১২ শতাংশ। তবে সকল জটিলতা নিরসন করে আগের চেয়ে গতি কিছুটা বেড়েছে বলে মন্তব্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা কেটে যাচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যে বাকি জটিলতাও দূর করে দ্রুত কাজ সম্পন্নের দিকে এগোচ্ছেন তারা।
ঢাকা সিলেট ৬ লেন প্রকল্পের সিলেট অংশের প্রজেক্ট ম্যানেজার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘২০২৩ সালের মার্চ ও মে মাসে আমরা যেটা শুরু করেছিলাম এগুলো বলা যায়ে এখন পর্যন্ত ১২ শতাংশ অগ্রগতি। সবাই জানেন যে আমাদের ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা ছিল। কিন্তু নতুন জেলা প্রশাসক আসার পর নিজে সাইট ভিজিট করে যেসব জায়গায় স্থাপনা নেই সেগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন।’
সিলেট সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট অংশে ১৭টার মাঝে ১১টি ভূমি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদিত হয়ে গেছে। এদিক থেকে ঢাকা-সিলেট অংশের অগ্রগতি সন্তোষজনক। সিলেট-তামাবিল অংশে আমাদের নিজেদের বেশ কিছু ভূমি আছে। সে সমস্ত জায়গায় কাজ করা যাবে।’
মহাসড়কটি এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক করিডোর এবং সার্ক হাইওয়ে করিডোরে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় ব্যবসায়িক নেতারা বলছেন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় সড়কের কাজ দ্রুতগতিতে শেষ করা উচিত।
সিলেটের দি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেডের সভাপতি ফজে হাসান ফেরদৌস বলেন, ‘ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারকে জানতে হবে কোন কোন কারণে এ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা- নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে সরকার প্রকল্পটিকে আরো গুরুত্ব দেবে।