ভ্রমণ
0

বর্ষ বিদায় ও বরণে কক্সবাজার-কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

দু'শ কোটি টাকা লেনদেনের আশা ব্যবসায়ীদের

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছর বরণে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। দুই সৈকতের ৭ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্টে প্রায় শতভাগ রুমই বুকিং হয়েছে। দু'শ কোটি টাকা লেনদেনের আশা ব্যবসায়ীদের।

পুরোনো বছরের শেষ সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও নতুন বছরের প্রথম সূর্যদয়কে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।

থার্টি ফাস্ট নাইট ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে। পরিবারের সদস্য কিংবা প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন সবাই। লাবনী-সিগাল থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্ট সর্বত্রই পর্যটকে মুখরিত। কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে কেউ বিচ বাইকে ছুটে যাচ্ছেন নীল জলরাশিতে। কেউ আবার প্রিয় মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করছেন মুঠোফোনে।

দেশি বিদেশি পর্যটক বরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের প্রায় শতভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন বন্ধ থাকলেও কিছু তারকা হোটেলে অভ্যন্তরীণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন রাখা হয়েছে।

বছরের শেষ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছেন ভ্রমণপিপাসুরা। সমুদ্র সকৈত সেজেছে অপরূপ সাজে। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরীর ব্যবসা-বাণিজ্য। দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্টে বুকিং হয়েছে ৯০ শতাংশ রুম।

বিপুল পর্যটক সমাগমের কথা মাথায় রেখে দুই সমুদ্র সৈকতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সক্রিয় রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তায় প্রস্তুত লাইফ গার্ড ও বিচ কর্মীরা।

নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় প্রায় দুইশ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা ব্যবসায়ীদের।

এএইচ