ভ্রমণ
0

কক্সবাজারে চার দিনে ৩০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটি ও পরবর্তী ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘিরে কক্সবাজারে এখন পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। এই চারদিনে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা ব্যবসায়ীদের।

শীত মৌসুম শেষে বসন্তে সারাদেশ থেকে সমুদ্রের টানে মানুষ ছুটে যান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। তার ওপর সরকারি ছুটি দিয়েছে বাড়তি মাত্রা। তাই মাতৃভাষা দিবস এবং পরবর্তী সময়ের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে।

বিপুল পর্যটকে চাঙা হয়ে উঠেছে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে হোটেল-রেস্তোঁরা, পরিবহন ব্যবস্থাসহ গোটা পর্যটন খাতে। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউসের শতভাগ কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে।

দিনভর সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি জেডস্কি, বীচ বাইক, ঘোড়ায় চড়ে সময় কাটিয়েছেন পর্যটকরা। অনেকে প্রিয় মুহূর্তগুলো বন্দি করেছেন মুঠোফোনে বা ক্যামেরায়। কেউ আবার ব্যস্ত কেনাকাটায়। কেননা কেবল এখানেই তুলনামূলক কম দামে মেলে মনোলোভা কিছু মনিহারি ও ভোগ্যপণ্য।

পর্যটকরা বলেন, 'এতো লোকের সমাগম এর আগে কখনো দেখিনি। আমরা সবাই খুব উপভোগ করছি।'

বিপুল পর্যটক আসায় সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কয়েকগুণ বেড়েছে বেচাকেনা। খুশি সৈকতের ফটোগ্রাফার, জেডস্কি চালক, বীচ বাইক চালকসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, 'বেচাকেনা অনেক বেশি হচ্ছে। যতটুকু আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি হচ্ছে।'

কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস রয়েছে। হোটেল মালিকদের আশা পর্যটক আসার এই ধারা অব্যাহত থাকবে আগামী মার্চ পর্যন্ত।

বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রহমান বলেন, 'রমজানের আগ পর্যন্ত যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবো। ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের আগমন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।'