দক্ষিণ আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

উদ্বোধনের আগেই সমালোচনার মুখে কিউবার সবচেয়ে উঁচু ভবন

উদ্বোধনের আগেই সমালোচনার মুখে কিউবার সবচেয়ে উঁচু ভবন টরে কে-টোয়েন্টি থ্রি হোটেল কর্তৃপক্ষ। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা দেশটিতে বড় এই প্রকল্পকে বিলাসিতা বলছেন স্থানীয়রা। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যারিবীয় দেশটির পর্যটন খাতকে চাঙা করতেই এই উদ্যোগ।

একপাশে অট্টালিকা, অন্যপাশে যেন বিধ্বস্ত জনপদ। কিউবার রাজধানী হাভানার প্রাণকেন্দ্রে দেখা মিলবে এমন বাস্তবতার।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জ্বালানির ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি, দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটে ধুকছে ক্যারিবিয়ান দেশটির অর্থনীতি, এমন পরিস্থিতিতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশটির সবচেয়ে উঁচু ভবন টরে কে-টোয়েন্টি থ্রি হোটেল'।

কোটি পেসো খরচ করে মেগা এই প্রকল্প বাস্তবায়নকে নিতান্তই বিলাসিতা বলে ক্ষোভ ঝাড়ছেন স্থানীয়রা। ঔপনিবেশিক ভবন সংস্কারের পাশাপাশি বিপুল এই অর্থ নিম্নআয়ের মানুষদের সহায়তা করা যেত বলে মত তাদের।

স্থানীয় একজন বলেন, 'এটি অপ্রয়োজনীয়। এই মুহূর্তে শহর এবং দেশের অনেক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রস্থলের চারপাশে এবং ভেতরের ভবনগুলো পুনর্নির্মাণে অর্থায়নের প্রয়োজন। আমাদের ঔপনিবেশিক স্থানগুলো সংস্কারের প্রয়োজন। দেশের পরিস্থিতিও বিবেচনায় হোটেল নির্মাণকে প্রয়োজনীয় কিছু মনে করি না।'

কিউবার একজন নাগরিক বলেন, 'হোটেলটির নির্মাণকাজ শুরু হওয়া থেকে এটা দেখেছি। বিত্তবানদের উচিত ছিল গৃহহীনদের বাড়ি তৈরি করা, সাহায্য করা হোটেল নয়, এখনও কিউবায় অনেকগুলো ভালো হোটেল বন্ধ রয়েছে।'

স্থানীয় অন্য একজন বলেন, 'আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিম্নআয়ের মানুষরা সবচেয়ে বিপাকে রয়েছেন।'

এদিকে বিলাসবহুল এই হোটেলের কারণে আধুনিকায়ণের পাশাপাশি দেশটির পর্যটনখাত আরও চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা।

একজন পর্যটন বিশেষজ্ঞ বলেন, 'ঐতিহ্যবাহী হাভানার স্কাইলাইনের মধ্যে অন্যতম ছিল ফোকসা এবং হাবানা লিব্রে। এখন হাভানার চিত্র পরিবর্তন হচ্ছে, আধুনিকায়ন হবে। বর্তমানে হাভানার চিত্র ঔপনিবেশিক যুগে আটকে আছে।'

৫০৫ ফুট উচ্চতার বিলাসবহুল এই হোটেলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ৪২ তলায় এই ভবনটিতে রয়েছে ৫৬৫টি পাঁচতারকা রুম। গেল বছর ক্যারিবিয়ান এই দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন ২০ লাখেরও বেশি পর্যটক।

এসএস