লোহিত সাগরে মোতায়েন থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর রণতরী আইজেনহাওয়ারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হলে তেল বাণিজ্য ঝুঁকিতে পরতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর প্রভাবে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা আরও প্রকট হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে।

লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা আর পানামা খালে খরা, দুইয়ে মিলে বাড়তি খরচের মাশুল গুণতে হচ্ছে বড় বড় শিপিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বিশ্বের প্রধানতম বাণিজ্যিক নৌপথগুলোতে এক বছর আগের তুলনায় ৭১ থেকে ১৫০ শতাংশের বেশি পরিবহন খরচ বেড়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল এবং পারস্য উপসাগরীয় বন্দরগুলোতে শ্রমিক ধর্মঘটের শঙ্কাও বাড়ছে।

এডেন উপসাগরে বার্বাডোজের কার্গো জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণহানিসহ আগুন ধরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় জাহাজটিতে ২০ জন ক্রু ছিলেন। সমুদ্রে জাহাজ চলাচল নিরাপদ করতে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির আগেও রাশিয়া থেকে ৬০ শতাংশ জ্বালানি তেল আমদানি করতো ইউরোপ।

এক বাংলাদেশিসহ ২৩ নাবিক নিরাপদে আছেন

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে রয়েছে ইরানের তৈরি অস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার। সেই অস্ত্র দিয়ে লোহিত সাগরে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে তারা। এমন অভিযোগ করেছেন সৌদি আরব ও পশ্চিমা দেশগুলো।

হামাস-ইসরাইল সংঘাতে লোহিত সাগরে সৃষ্ট অস্থিরতার কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গোল্ডম্যান স্যাকস।

লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার ভয়ে পণ্য পরিবহনে রুট পরিবর্তন করছে বড় বড় শিপিং কোম্পানি।