বিদেশে এখন
0

হুতির হামলার ভয়ে রুট পরিবর্তনে বহু জাহাজ

লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার ভয়ে পণ্য পরিবহনে রুট পরিবর্তন করছে বড় বড় শিপিং কোম্পানি।

সুয়েজ খাল দিয়ে না গিয়ে দীর্ঘপথ দক্ষিণ আফ্রিকার 'কেপ অব গুড হোপ' দিয়ে কার্গো জাহাজ যাতায়াত করছে তারা। এতে বাড়ছে পরিবহনে খরচ ও সময়। যার প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ববাজারে।

সুয়েজ খাল দিয়ে লোহিত সাগরে যাতায়াতের পথে জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হুতিদের হামলায় ব্যাহত হচ্ছে পণ্য পরিবহন। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের বাণিজ্য বাধার মুখে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে শিপিং কোম্পানিগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার রুট ব্যবহারের। যা কি-না আরও বেশি ব্যয়বহুল ও অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রেস মনিটরিং অর্গানাইজেশন দ্য মিডল ইস্ট মনিটর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লোবাল লজিস্টিক্স গ্রুপের ২৫টি জাহাজ এরইমধ্যে বাধ্য হয়েছে তাদের গতিপথ পরিবর্তনে।

একইভাবে ফ্রান্সের শিপিং গ্রুপও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুয়েজ খালের বিকল্প ব্যবহারের কথা জানিয়েছে। লোহিত সাগরে বিপদ আসন্ন থাকায়, এরআগে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার 'কেপ অব গুড হোপ' সাগরপথ ব্যবহার করে কন্টেইনার পরিবহনে।

বেলজিয়ামের অয়েল ট্যাংকার ফার্ম 'ইউরোনাভ' জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরের সুয়েজ খাল পথটি এড়িয়ে যাবে।

একই অবস্থা তাইওয়ানের কন্টেইনার শিপিং কোম্পানি 'এভারগ্রীনে'র। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা নিরাপদ জায়গায় নোঙর করে থাকবে। পরে নির্দেশনা অনুযায়ী, সুয়েজ খাল দিয়ে নতুবা 'কেপ অব গুড হোপ' দিয়ে যাত্রা শুরু করবে। আর আপাতত এরা ইসরাইলের পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছে বলেও জানায় শিপিং কোম্পানিটি।

নরওয়েভিত্তিক অয়েল ট্যাংক গ্রুপ 'ফ্রন্টলাইন' ও গাড়ি পরিবহনকারী 'গ্রাম কার ক্যারিয়ার' জানায়, আপাতত লোহিত সাগর ও 'গাল্ফ অব এডেন' দিয়ে তারা একদমই যাবে না। কারণ জাহাজগুলো এই পথে যাওয়ার বিষয়ে বিধি-নিষেধ রয়েছে।

জার্মান কন্টেইনার শিপিং হেপাগ-লয়েড, দক্ষিণ কোরিয়ার শিপিং কন্টেইনার HMM 011299, জাপানের;অশান নেটওয়ার্ক এক্সপ্রেস'সহ বেশ কিছু শিপিং কোম্পানি রুট পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে।

বিশ্বের বড় বড় এসব শিপিং কোম্পনিগুলোও যেন হুতিদের ভয়ে ভিন্ন পথ খুঁজছে। যদিও তাদের এ সিদ্ধান্তের প্রভাব পরতে যাচ্ছে গোটা বিশ্বের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায়।